নিজস্ব প্রতিনিধি— নাম বদলে ফেলেছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ। আন্তর্জাতিক চাপ থেকে বেরোতে এবং পাকিস্তানে তাদের প্রশিক্ষণের উপর থেকে নজরদারি এড়াতে নতুন নামকরণ হয়েছে জৈশ-এর। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশ ই মহম্মদের নতুন নাম হয়েছে ‘মজলিস উরাসা এ শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’। এই নামের মানে জম্মু-কাশ্মীরের সব শহিদদের পরিবারের জমায়েত। মাসুদ আজহারের ভাই মুফতি আবদুল রফ আসঘার এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়ার পর এর নাম পালটে রাখা হয়েছে ‘মজলিস উরাসা এ শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’। তবে নাম বদলালেও তাদের লক্ষ্য একই আছে। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নাম বদলালেও তাদের বাকি কর্মপদ্ধতি একই রয়েছে। কীভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতে হামলা চালাতে হবে, সেই ছকই কষছে তারা। জইশ নেতা মৌলানা আবিদ মুখতার ইতিমধ্যেই ভারত, আমেরিকা ও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ভারতের কাউন্টারটেরর এজেন্সির মতে, নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করলেও জৈশের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বে কোনও পরিবর্তন হয়নি, বদলায়নি জঙ্গী ক্যাডারও। জইশের এই নাম বদল ও হামলার পরিকল্পনার পিছনে পাক সরকার ও সেনার প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলেই খবর।
নির্বাচন কমিশনার লাভাসার স্ত্রীকে আয়কর নোটিশ, মোদী-শাহকে কাঠগড়ায় তুলে সরে দাঁড়িয়েছিলেন নিজের পদ থেকে
জানা গিয়েছে, ভারতে আত্মঘাতী হামলার জন্যে জৈশ ৩০ জনকে তৈরি করেছে। তাদের প্রধান টার্গেট জম্মু-কাশ্মীরে সামরিক ক্যানটনমেন্ট এবং সেনাবাহিনীর কনভয়। রফ আসঘার চলতি মাসের শুরুর দিকে বালাকোটে ফের সক্রিয় করেছে মারকাজ সৈয়দ আহমদ শাহিদ ট্রেনিং ক্যাম্প। ইতিমধ্যেই মানসেরা, গুলপুর, কোটলি প্রভৃতি এলাকায় নতুন জঙ্গি ভর্তি করা শুরু করেছে জইশ। সবাইকে বালাকোটে নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দিয়ে হামলার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও চারসাদা, মর্দান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রভৃতি এলাকায় জঙ্গিদের ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একাধিক জায়গা দিয়ে সীমান্তে চাপ বাড়ানোর জন্যই এই পরিকল্পনা নিয়েছে জঙ্গিরা। ভারতের নিরাপত্তায় হামলা চালানোর জন্যে ভাওয়ালপুর এবং শিয়ালকোট থেকে নতুন সদস্য নিয়োগ করছে তারা। গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীর নয়, জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রও। এ বার আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠন, যেমন আল উমনার মুজাহিদিন প্রভৃতির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে তারা।