নিজস্ব প্রতিনিধি : আলিপুর আদালতেও ধাক্কা খেলেন রাজীব কুমার। শেষ পর্যন্ত খারিজ করে দিল আগাম জামিনের আবেদন। শনিবার রাত আটটা নাগাদ আলিপুর জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুজয় সেনগুপ্ত রায় ঘোষণা করে জানালেন, চিটফান্ড মামলায় রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হবে না। এই রায়ে ফলে রাজীব কুমার কে CBI-এর গ্রেফতারে সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়ে গেল।
শনিবার সিবিআই এবং রাজীবের আইনজীবেদের আদালত বলে, আপনারা ঠিক করে একটি তালিকা জমা দিন যে, এখন পর্যন্ত কতবার রাজীব কুমারকে ডেকেছিল সিবিআই। এবং কোন কোন তারিখে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাছাড়া দেখে বলুন কোন কোন দিন তিনি গিয়েছিলেন বা যাননি। এই বিরতির পর শনিবার দুপুর সওয়া ২ পর ফের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষ হয়েছিল বিকেলে।
আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার। এই অবস্থায় তাঁর আগাম জামিনের আবেদনের কোনও যৌক্তিকতা নেই। এরপরেই রাত আটটা নাগাদ আদালত আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
অন্যদিকে এদিন রাজীবের আইনজীবী দেবাশীষ রায় ব্যাখ্যা করেন ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কীভাবে সারদা মামলা এগিয়েছে। দেবযানীর মোবাইল, ল্যাপটপে নাকি প্রচুর তথ্য ছিল। সেটা কেন ফেরত দেওয়া হল, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন করা হচ্ছে কিন্তু সুদীপ্ত সেনের এখনও ৩টি ফোন পড়ে রয়েছে সেটা দেখছে না। রাজীবের আইনজীবী আরও বলেন, ২০১৭ সালে ২টো, তারপর ৫টা কিন্তু এখন তো রোজই নোটিস দিচ্ছে। এরপর বিচারক বলেন, এমন সময় নোটিস পাঠানো হচ্ছে, তাতে আসতে পারছেন না, এটাই মোদ্দা কথা তো!
সূত্রের খবর, সোমবারই এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করবেন রাজীবের আইনজীবীরা। যতদূর জানা গিয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে মঙ্গল বা বুধবার এই মামলার শুনানি হবে।
যদি সেখানে রাজীব কুমার জামিনপেয়ে যায়, তাহলে আবার সিবিআই ছুটবে সুপ্রিম কোর্ট। আর যদি জামিন না পায় তাহলে রাজীব কুমারকেই যেতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।