নিজস্ব প্রতিনিধি : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এ রাজ্যের বিশিষ্ট জনদের একাংশ উদ্বিগ্ন এবং ভীত। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখার আবেদনের পাশাপাশি গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। শুক্রবার ‘সিটিজেনস্পিক ইন্ডিয়া’র তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়। এই বিবৃতিতে অপর্ণা, কৌশিক বা বোলান গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও নাম রয়েছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, রূপম ইসলাম, সোহাগ সেন, অনুপম রায়, চিত্রা সরকার, মুদার পাথারিয়া-সহ আরও অনেকের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হিংসাত্মক ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন তাঁরা। আজকের বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় যাদবপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে যেভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়েন ও তারপরে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তাতে তাঁরা চিন্তিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে ভাবে একটি আপাতনিরীহ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রবল তাণ্ডব-হিংসাত্মক ঘটনায় পরিণত হয়েছে, তা নিয়েও চিন্তার ভাঁজ তাঁদের কপালে।

এই বিবৃতিতে অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনরা আরও দাবি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরাও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। রাইফেল থেকে খুলে মাটিতে পড়ে যায় গুলি-সহ ম্যাগাজিন। যে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে পারত। এই ঘটনায় পড়ুয়াদের আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল বলেই মনে করেন তাঁরা। বাবুল সুপ্রিয়র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও আরও ভালোভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতেন বলে মত সিটিজেনস্পিক ইন্ডিয়ার সদস্যদের।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ক্যাম্পাস জুড়ে ওঠে ‘গো ব্যাক স্লোগান’। মন্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগও উঠেছে পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে।
https://aamarsakal.com/2019/09/19/aamar-sokal-september-19-your-leader-buddhadeb-bhattacharjee-babul-told-protesters-counter-student-said-we-are-naxal/
বৃহস্পতিবার এবিভিপি-র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং ফ্যাশন ডিজাইনার তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পা দেওয়া মাত্রই উত্তেজনা ছড়ায়। মন্ত্রীকে দেখানো হয় কালো পতাকা। বিরোধী গোষ্ঠীর একদল পড়ুয়া তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। প্রথমে বাবুল সুপ্রিয়র নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বাম ছাত্রদের৷ এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও ধাক্কা দেওয়ার এবং তাঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে৷
সূত্রের খবর, এদিনের ‘নবীনবরণ’ অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নয়, আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে এসেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি ঘোষণার দাবিতে শিক্ষক সংগঠন জুটার তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন পত্র জমা দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল৷