আমার সকাল: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ফোন করে চন্দ্রযান-২-এর খোঁজ নিলেন ব্র্যাড পিট

নিজস্ব প্রতিনিধি— চাঁদের মাটি ছোঁয়ার মিনিট খানেক আগেই চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। তার পর থেকে থার্মাল ইমেজে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডারের অস্তিত্বের সন্ধান মিললেও এখনও যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবোরেটরির (JPL-Jet Propulsion Laboratory) ৭০ মিটারের অ্যান্টেনা থেকেও রেডিও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তবে সব আশাই ব্যর্থ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের পাশাপাশি বিদেশেও চর্চা তুঙ্গে। এবার চন্দ্রযান-২-এর খোঁজ মিলল কি না তা জানার জন্য আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (International Space Station) মহাকাশচারী নিক হগকে এই প্রশ্ন করেছেন হলিউড তারকা ব্র্যাড পিট। ল্যান্ডারের খোঁজ কবে মিলবে আগ্রহ ভরে জানতেও চেয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, সোমবার নাসার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে স্পেস স্টেশনে ফোন করেন ব্র্যাড পিট। নিকি হেগ বিগত ২০০ দিন ধরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কর্মরত। মার্কিন মহাকাশচারী নিকি হেগ-এর সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন তিনি। হেগ-এর তাঁর মহাকাশে ভেসে ভেসে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চান অভিনেতা। স্পেস স্টেশনে বসে কাজ করতে করতে দিন-রাতের তফাত কতটা বোঝা যায়, তা-ও জানতে চান অভিনেতা। অভিনেতার সব প্রশ্নেরই উত্তর দেন হেগ।

হেগ-পিটের কথোপকথনের মধ্যেই উঠে আসে ভারতের চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ। বিক্রমকে ‘হ্যালো’ মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে নাসা। তাই ল্যান্ডার বিক্রমের সম্পর্কে কোনও খবর আছে কিনা জানতে চান ব্র্যাড পিট। অভিনেতাকে স্পেস স্টেশনে কর্মরত মার্কিন মহাকাশচারী আক্ষেপের সঙ্গে জানান, তাঁদের কাছে এ বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই।

ব্র্যাডের পরবর্তী ছবি ‘অ্যাড অস্ত্র’ এক মহাকাশচারীর রহস্যময় অভিযানের গল্প। সেই সূত্রেই আইএসএস-এর মহাকাশচারী নিগকে ফোন করেছিলেন ব্র্যাড। অভিনেতা ব্র্যাড পিট এবং মার্কিন মহাকাশচারী নিকি হেগ-এর এই কথোপকথনের ভিডিয়োটি নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে নাসা।যাতে নিককে বলতে শোনা গেছে, “আমি এখন শূন্যে ভাসছি। ওজনহীন দশা। আমার পা মাটিতে ঠেকছেই না। ” মাইক্রো-গ্র্যাভিটির কারণে স্পেস স্টেশনে সব কিছুই ভাসন্ত অবস্থায় থাকে। ইসরোর মুন-মিশনের প্রশংসা করে উৎকণ্ঠার সঙ্গেই চন্দ্রযানের খোঁজ খবর নেন ব্র্যাড।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন