নিজস্ব প্রতিনিধি : ভয়াবহ ডেঙ্গুর কবলে প্রায় গোটা বাংলাদেশ। ৬৪টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গি। দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে উপচে পড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ভিড়। এক দিনেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছে ১ হাজার ৩৩৫জন। এপর্যন্ত ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উপসচিবের স্ত্রী-সহ ঢাকা মেডিক্যালে ১০ জন ও বরিশাল মেডিক্যালে ২জন মারা গিয়েছেন।
রোগীদের তুলনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা অনেকটাই কম হওয়ায় পরিষেবা দিতে গিয়ে নাজেহাল চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের। তবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি রাজধানী ঢাকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেল্থ এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এদিন দুপুর নাগাদ ১,৩৩৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভরতি হয়েছেন ৯৭৪ জন। পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের নিজ দফতরে ডেঙ্গি রোগ সংক্রান্ত মিনিস্টার মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
https://aamarsakal.com/2019/07/28/12-lakh-people-suffer-damage-floods-in-bangladesh-rise-to-4-in-7-days/
বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডি লেকের ধারে আওয়ামি লিগের মশা নিধন ও সচেতনতামূলক প্রচার অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষের পক্ষে পাঁচশ-হাজার টাকা দিয়ে এই রোগের রক্তপরীক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসকদের বলব, মানবতার স্বার্থে নামমাত্র ১০০ টাকা অথবা বিনা পয়সায় রক্তপরীক্ষা করুন।’
ডেঙ্গি প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লন্ডন থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামি লিগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেঙ্গি বিষয়ে জরুরি বৈঠক চলাকালে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয় ভাবে বুধবার থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামি লিগ।
সরকারি সূত্রে খবর, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৮৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ হাজার ৬৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত শিশু-সহ মোট ৪৪০০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জ্বরের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এর মধ্যে আগামী মাসে ঈদ-উল-আজহা থাকায় চিন্তা আরও বেড়েছে।