আমার সকাল: চূড়ান্ত লিস্টেও ঠাঁই হল না অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার সানাউল্লার

নিজস্ব প্রতিনিধি— প্রথম পর্যায়ে অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে ঠাঁই হয়নি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জুনিয়র কমিশনড অফিসার মহম্মদ সানাউল্লার। এরপর তাঁকে বিদেশি বলে পাঠানো হয় ডিটেনশন ক্যাম্পে। এরপর আজ শনিবার এনআরসি’র যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয় তাতেও ঠাঁই মেলেনি এই অবসর প্রাপ্ত অফিসারে। একই সঙ্গে তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলের নামও সেই তালিকায় নেই। কিন্তু সানাউল্লার স্ত্রীর নাম তালিকায় আছে।

আর পড়ুন: অসমে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, বাদ পড়ল ১৯ লক্ষ

অসম সরকারের ঘোষণা মতো বাদ যাওয়া ১৯ লক্ষ লোকের মতো তাঁদেরকেও এখন ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে। মহম্মদ সানাউল্লা তাঁর নাম বাদ পড়ার পরে গুয়াহাটি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। বিচারপতি তাঁকে ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু তাঁকে ভারতীয় নাগরিক বলে ঘোষণা করেন। সানাউল্লা আর্জি জানিয়েছিলেন, তাঁকে যেন বিদেশি বলে গণ্য না করা হয়। এসম্পর্কে এখনও শুনানি চলছে।

সানাউল্লা একসময় সেনাবাহিনীর সুবেদার ছিলেন। এখন তাঁর বয়স ৫২। ১৯৮৭ সালে তিনি সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগ দেন। তিনি দু’বার জম্মু-কাশ্মীরে এবং একবার মণিপুরে পোস্টেড ছিলেন। অসম সরকারের অফিসার চন্দ্রমল দাস তদন্ত করে সানাউল্লাকে বিদেশি বলে ঘোষণা করেন। ২০০৮ সালে তাঁকে নোটিশ দিয়ে বলা হয়, আপনি যে ভারতীয় তা প্রমাণ করুন। ২০১৮ সালে তিনি ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হন। ২৩ মে তাঁকে বিদেশি বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর তাঁকে গোয়ালপাড়ায় ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন