সবুজ হোক পাকিস্তান! কূটনৈতিক চালেই গাছ পুঁতে ইমরানের দেশ ছাড়লেন ভারতের রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব সংবাদদাতা: সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্পেশাল রাজ্যের তকমা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। কিন্তু এরপরেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে ইমরান খানের পাকিস্তান। নয়াদিল্লিকে বিশ্বের কাছে চাপে ফেলতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই বৈঠকের পরই ইসলামাবাদ ঘোষণা করে দিয়েছিল, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্ব কমাতে চলেছে তারা। ইসলামাবাদ স্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয় লাহোর-দিল্লি বাস পরিষেবা, সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

 

তবে দিল্লিকে চাপে রাখতে ইসলামাবাদ যেভাবে সেদেশের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে তা বিশ্বের দরবারে অন্যমাত্রাই বহন করেছে। তবে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের পোড় খাওয়া কূটনীতিক অজয় বিসারিয়া দেশে ফিরলেন ঠিকই। কিন্তু তার আগে ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসে একটি গাছের চারা পুঁতে দিয়ে এলেন। সেই ছবি আবার টুইট করে বললেন, “পাকিস্তান ছাড়ার আগে একটা গাছের চারা পুঁতে দিয়ে এলাম,… আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। অনেক দিক থেকে এটা অর্থবহ”। তবে কূটনীতিকরা মনে করছেন, নয়াদিল্লি গোড়াতেই স্পষ্ট করেছে কাশ্মীরে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে কোনও আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু সে কথার বলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে নয়াদিল্লি এই বার্তাও ধারাবাহিক ভাবে দিয়ে যেতে চায় যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সুষ্ঠু সহাবস্থান চায় ভারত। সংঘাত কোনও ভাবেই উদ্দেশ্য নয়। গাছের চারা পুঁতে দিয়ে আসার ছবিটা সেই দিক থেকে ইঙ্গিতবাহী।অজয় বিসারিয়া জানিয়েছেন, মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসে ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ১৫০ টি গাছের চারা লাগানোর কথা ঠিক হয়েছিল। ১৫০তম চারাটি পুঁতে দেশে ফিরলেন তিনি।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন