গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে আছে ইসলামাবাদ! গোটাবিশ্ব পাকিস্তানের থেকে ১০৫০০ কোটি ডলার পায়

নিজস্ব প্রতিনিধি : জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ করেছে পাকিস্তান। তাই ইদের মুখে সে দেশে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। এর জেরে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে আশঙ্কা করছেন অনেকে। শুধু দ্বিপাক্ষিকভাবেই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ধাক্কা খেয়েছে

এই অবস্থার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তানের অর্থনীতির এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে হিসাব করে দেখা গিয়েছে, গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে আছে পাকিস্তান। তাদের ধারের পরিমান বিশ্বের ৪৩টা দেশের জিডিপি-র সমান।

ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড-এর রিপোর্ট অনুসারে গোটা বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের ঋণের পরিমান ১০৫০০ কোটি ডলার। ২০০৪ সালে পাকিস্তানের ঋণের পরিমান ছিল ৩০০০ কোটি ডলার।

হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের অন্তত ৪৩টি দেশের জিডিপি-র সমান ঋণ পাকিস্তানের। এর মধ্যে রয়েছে সামোয়া, গাম্বিয়া, ভুটান, মধ্য আফ্রিকার দেশগুলি, লাইবেরিয়া, বুরুন্ডি, সুরিনেম, দক্ষিণ সুদান মতো দেশগুলি। এদের মোট জিডিপি ১০৭০০ কোটি ডলার।

২০১৮ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.৭১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। যা বিশ্বের সপ্তম সব থেকে বড় অর্থনীতি। ওদিকে পাকিস্তান তালিকায় রয়েছে ৩৯ নম্বরে। তাদের জিডিপি ০.৩১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার।

ইসলামাবাদ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতেই চিন্তায় পড়েছেন সেদেশের বাসিন্দারা। সেখানে ইতিমধ্যে প্রতি কেজি টোম্যাটোর দাম ৩০০ পাকিস্তানি রুপি।

আগামীকাল সোমবার ইদ-আল-আধার। বাজারের হাল দেখে বোঝার উপায় নেই। ‘‘রোজগার বাড়ছে না। দুধ থেকে আনাজ বা মাংসের দাম বাড়ছে। এখন ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় রোজকার ব্যবহারের জিনিসের দাম আরও বাড়বে,’’ দুশ্চিন্তার সুর গৃহবধূ নাজ়মার গলায়।  একই চিন্তা পেঁয়াজ বিক্রেতা ইফতিখারের। বলেছেন, ‘‘ইদের মাত্র ১দিন বাকি। কেনাকাটা প্রায় বন্ধ। আনাজ ও পেঁয়াজ আসে ভারত থেকে। ইমরান খান কী চান? আমরা ঘাস খেয়ে থাকি?’’ ব্যাঙ্ককর্মী আসফাকের কথায়, ‘‘ইদের রোশনাই এ বার ফিকে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত করার পিছনে ইমরান সরকারের কী ভাবনা বুঝতে পারছি না।’’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন