নিজস্ব প্রতিনিধি : সম্মান করি, তাই ২০১২ সালের পর পার্শ্বশিক্ষকদের দিকে তাকিয়ে ৪ হাজার থেকে বেতন বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হয়েছে। তবে সম সময় বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই বলে কালো ব্যাচ পড়ে ক্লাস কেন? বা সরকার টাকা পাবে কোথা থেকে? সোমবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে পার্শ্বশিক্ষকদের তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের।
সমকাজে সমবেতন দেওয়ার দাবি-সহ একাধিক দাবি নিয়ে গত শুক্রবার থেকে আন্দোলনের রাস্তায় নেমেছেন রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার পার্শ্ব শিক্ষক। সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে অনশন আন্দোলনে বসেন বিভিন্ন জেলার পার্শ্ব শিক্ষকরা। দাবি, পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে তাঁদের। বিকেলেই সেখান থেকে তাদের তুলে দেয় পুলিস। বিকাশ ভবন থেকে তাঁরা চলে যান ব্যারাকপুরে। সেখানেও তাঁদের বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর শনিবার পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কল্যাণী। এরপর পুলিসের লাঠিচার্জ, ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের একের পর এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন, অনেক মাইনে বাড়ানো হয়েছে। এক্ষুণি আর সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “গত বছরই পার্শ্ব শিক্ষকদের মাইনে ৪ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি করা হয়েছে।”
পার্শ্ব শিক্ষকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “টাকাটা দেব কোথা থেকে আমরা? দেখুন এই তো ক’দিন আগে এসএসকে-এমএসকে শিক্ষকদেরটা বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হল। আজ এ, কাল সে, যে কোন জিনিসের জন্য রাস্তায় বসে পড়ছে সবাই। সব টাকা রাজ্য অর্থভান্ডার থেকে কেন্দ্র তুলে নিয়ে যায়। বাদ বাকি ইনকাম ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়। ঠিক করে বলুনত আমি দেবটা কোথা থেকে? আপনারা রাজ্যে একটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক করে দিন। তাহলে সব টাকা দিয়ে দেব।”
পুলিশ যাই করুক, আন্দোলন চলবেই! রাতে মার খেয়ে সকালে ফের জমায়েত পার্শ্বশিক্ষকদের
বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকদের আন্দোলনে গত কয়েক মাসে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। কয়েকদিন আগেই বিকাশ ভবনে টানা অনশনের শেষে দাবি আদায় করেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। এ বার আন্দোলনে পার্শ্ব শিক্ষকরা। অবশেষে বিরক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পার্থদার তো একটা এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট নিয়ে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। রোজ রাস্তায় বসে পড়ছে।ছাত্ররা কি শিখবে বলুনত। ওরা কি র আপনাদের সম্মান করবে।”
পাশাপাশি এ দিন মোদী সরকারকে বিঁধে নেত্রীর অভিযোগ, “কেন্দ্র সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকা দেয়নি। রাজ্য সরকার টাকা পাবে কোথা থেকে।” কালো ব্যাচ পরে ক্লাস করানোয়, ছাত্রদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রীর।