নিজস্ব প্রতিনিধি : কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের সাম্প্রতিক অবনতির জেরে জলপথে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করল ভারতীয় নৌসেনা। বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে দেশের ৭,৫১৪ কিমি দীর্ঘ উপকূলের উপর।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নৌসেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন “আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি, জলপথে আক্রমণ করতে পারে পাকিস্তান। তাই পূর্ব ও পশ্চিম দুই উপকূলেই সূরক্ষা বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় র্যাডার বসিয়ে নজর রাখার হচ্ছে। সুরক্ষার ফাঁক গলে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে, সে দিকটা দেখা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, উপকূল বরাবর নজরদারি রাখার জন্য রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে এরই মধ্যে খবর পাওয়া গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিস্তারিত অঞ্চলে নতুন গতিবিধি শুরু করেছে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই কুখ্যাত পাক সন্ত্রাসবাদী রউফ আজগর। সেখান থেকেই তার সাঙ্গপাঙ্গরা ভারতে কোনও ফিঁদাইন হামলা চালাতে পারে। জানা গিয়েছে, তাকে সম্প্রতি পঞ্জাবের নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে দেখা গিয়েছে।
Sources: Indian Navy puts all its bases and warships on high alert. Measures taken after Article 370 was revoked by the government and also due to possibility of Pakistan-backed terrorists carrying out any attack
— ANI (@ANI) August 9, 2019
নিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে মৎস্যজীবীদের নৌকায় ‘বন্ধু না শত্রু’ চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া চালুর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে নৌসেনা।
অন্যদিকে, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরের পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি সেনাও। সেনার চিনার কর্পের প্রধান কে জি এস ধিঁলো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিভিন্ন বিষয়ে হুমকি দিচ্ছে পাকিস্তান। যে নির্দেশ আসবে তা পূরণ করার জন্য নিজেদের সবটা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাক সেনাকে।
২০০৮ সালে উপকূল পথেই ভারতে প্রবেশ করেছিল ১০ জন পাক সন্ত্রাসবাদী। মুম্বইতে তারা ভয়াবহ হামলা চালালে ১৬৩ জনের মৃত্যু হয় এবং ৩০০ জন আহত হন। হামলার নিশানা হয় হোটেল, রেলওয়ে স্টেশন এবং একটি হাসপাতাল।