নিজস্ব প্রতিনিধি : মধুর প্রেমে পড়ে শেষ পর্যন্ত জেলে যেতে হল বছর ৪৫-এর লিওন হাউটন। জামাইকা থেকে তিন বোতল প্রিয় মধু আনতে গিয়ে পুলিশের চোখে মাদক পাচারকারী বনে গেলেন তিনি। তিন মাসা টানা গারদে কাটানোর পর যখন অবশেষে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তবে ততক্ষণে হারিয়েছেন সম্মান, চাকরি, সমাজে প্রতিষ্ঠিত জায়গা সবই।
আমার সকাল: অতিরিক্ত ভালোবাসে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আদালতের দারস্ত স্ত্রী
কিন্তু বাধ সাধল বাল্টিমোর-ওয়াশিংটন থুরগুড মার্শাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ওই দিন জামাইকা থেকে আমেরিকার মেরিল্যান্ডে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন লিওন হউটন। মধুর বোতলগুলোকেই মাদক তরল মেটামফেটামাইন ভেবে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মেটামফেটামাইন একপ্রকার পার্টি ড্রাগ। যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর ক্রিয়া করে। প্রসঙ্গত, এই মেটামফেটামাইন নিষিদ্ধ ড্রাগ। হাউটনের কোনও কথা না শুনেই গারদে পুরে দেওয়া হয় তাঁকে। আগাম পরীক্ষা না করেই তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখা যায় সেদিন হাউটনের কাছে সত্যিই ড্রাগের বদলে ছিল মধু। তার এক সপ্তাহ পরে পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় বোতলের ওই তরল মেটামফেটামাইন নয়। কিন্তু তারপরও ছাড়া পাননি হউটন। ছাড়া পান তিন মাস পর। ওই তরল যখন আরও একবার পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তা মেটামফেটামাইন নয়।
আমার সকাল : জ্বলছে অ্যামাজনের ঘন জঙ্গল
গত বছর ২৯ ডিসেম্বর বাল্টিমোর-ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক থুরগুড মার্শাল বিমানবন্দরের সেই দিনের কথা মনে করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন হউটন। তিনি বলেন, ‘‘ওরা আমার জীবন তছনছ করে দিয়েছে। আমি সারা বিশ্বকে জানাতে চাই যে এই ব্যবস্থাপনায় কতটা গলদ আছে। আমার চারপাশের মানুষদের যদি প্রবল মানসিক জোর না থাকত তাহলে তাঁরা আমাকে ছেড়ে চলে যেতেন।’’ তবে আপাতত নতুন করে বাঁচার রসদ খুঁজছেন হাউটন। চাকরি খুইয়েছেন বহুদিন আগেই। তবে ভেঙে পড়েননি হাউটন। বরং বলছেন, “স্ত্রী-সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নতুন করে বাঁচার লড়াই লড়ছি।”