আমার সকাল: মধ্যস্থতা নয়, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের ব্যাপার! মোদীর ইংরাজি বলাকে হেসে ওড়ালেন ট্রাম্প

নিজস্ব সংবাদদাতা: বছরভর প্রায় লেগেই থাকে ভারত-পাকিস্তান ঠান্ডা যুদ্ধ। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর পাকিস্তান কার্যত হুশিয়ারী ছুঁড়েছে ভারতকে।তবে ভারত-পাক ঠান্ডা যু্দ্ধের মধ্যস্থতার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক ইস্যু সমাধানের দায়িত্ব ভারত ও পাকিস্তানেরই। বিশ্বের বাকি শক্তিকে বিব্রত হতে হবে না।

 

জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে একথাই স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে জি-৭ বৈঠকের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার বলেছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা করতে বিশেষ বাবে উৎসুক তিনি। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে তিনি যে মধ্যস্থতাতেও উৎসাহী, বার তিনেক এই কথা বলেছেন ট্রাম্প।

 

কিন্তু, কাশ্মীর নিয়ে নিজেদের অবস্থান প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট করে দেওয়ার পর তা কার্যত মেনে নিতে বাধ্য হলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরো পড়ুণ:   মন কি বাত  অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বললেন, হিন্দিতে বেয়ার গ্রিলসকে তার মনের কথা বুঝিয়ে দিচ্ছিলো উন্নত প্রযুক্তি

ওরা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলবে এবং আমি নিশ্চিত যে কিছু শুভ সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে।’ তবে ফ্রান্সের বিয়ারিৎজ জি সেভেন শীর্ষ বৈঠকে  দেখা যায়, বৈঠক শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করছেন সাংবাদিকরা। জবাবে মোদী বলেন, “আমাদের দু’জনকে কথা বলতে দিন। আমরা আগে আলোচনা করি। তার পর দরকার পড়লে আপনাদের জানাব কী আলোচনা হল”।

ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হলেও প্রধানমন্ত্রী খুব সাবলীল ভাবেই হিন্দিতে এই জবাব দেন। তখনই পাশে বসে থাকা ট্রাম্প বলেন, “উনি আসলে খুব ভাল ইংরেজি বলতে পারেন। কিন্তু এখন কিছু বলতে চাইছেন না”। ট্রাম্প এ কথা বলতেই, মোদী হাসতে হাসতে বাঁ বাড়িয়ে ট্রাম্পের ডান হাত ধরে নেন। তার পর আবার ডান হাত দিয়ে তার উপর চাপড়াতে থাকেন”। ট্রাম্প আসলে বোঝাতে চান যে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যেতে চাইছেন মোদী, সেই কারণেই হিন্দিতে কথা বলছেন।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন