আমার সকাল : ''কোনও বিষয়ে ওঁর জ্ঞাণ ও বোঝার শক্তি ছিল অপরিসীম'', জেটলির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মোদির

নিজস্ব প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর শনিবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। রাজনৈতিক মহল থেকে দল নির্বিশেষে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকে। অন্যদিকে আরব আমিরশাহীতে বসেই এই দুঃসংবাদ পেয়ে শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে থেকে পাঠানো শোকবার্তায় মোদী বলেছেন, বড় মাপের রাজনীতিবিদ ছিলেন তিনি। নেতা হিসেবে দেশের প্রতি তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। তাঁর চলে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক

টুইট করেন, “দারুণ হাস্যরস বোধ ছিল তাঁর। সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষের থেকে সম্মান পেয়েছেন তিনি। ভারতের ইতিহাস, ভারতীয় সংবিধান, সরকার, প্রশাসন নিয়ে গভীর জ্ঞান ছিল। প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন। নেতা হিসেবে দেশের প্রতি তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। ওঁর চলে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতাজি এবং ছেলে রোহনের সঙ্গে কথা বলেছি। সহানুভূতি জানিয়েছি। ওম শান্তি।”

উল্লেখ্য, জিএসটি, নোটবন্দির মতো বড়সড় আর্থিক সংস্কারের সময়ে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন জেটলিই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও বিষয়ে ওই জ্ঞাণ ও বোঝার শক্তি ছিল অপরিসীম। ওর বহু সুখের স্মৃতি আমাদের মধ্যে রয়ে যাবে তবে ওর চিরদিনই অভাব বোধ করব

প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, শেষদিন পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে অরুণ জেটলির সম্পর্ক ছিল অটুট। ছাত্রনেতা হিসেবে জরুরি অবস্থায় সময় তাঁর আন্দোলন ছিল চোখেপড়ার মতো। ক্রমে দলের এক লড়াকু মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

গত ৯ অগাস্ট প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর এইমস-এ ভর্তি হয়েছিলেন অরুণ জেটলি। তারপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা ডাক্তারদের দল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০ অগাস্ট থেকেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বিপদ এড়ানো গেল না কোনওভাবেই। গতকালই এইমস সূত্রে জানা যায়, অরুণ জেটলির শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হতে শুরু করেছে। আজ দুপুর ১২টা বেজে ৭ মিনিটে প্রয়াত হন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।

আমার সকাল : প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি

প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অরুণ জেটলি৷ ২০১৮ থেকে কিডনি সমস্যা থেকে ভুগতে থাকেন তিনি৷ ডায়ালিসিস শুরু হয়৷ কিডনি প্রতিস্থাপনও হয়৷ তারপর ধরা পড়ে ক্যানসার৷ এরপরই সেই মারণ রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি পাড়ি দেন আমেরিকায়৷ শারীরিক অবস্থার প্রবল অবনতি হওয়ায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হননি অরুণ জেটলি। অসুস্থতার জেরে মোদীর মন্ত্রীসভায় মন্ত্রকের দায়িত্ব নিতেও চাননি তিনি। সেজন্যই ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থমন্ত্রী হয়েও প্রথম মোদি সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করতে দেখা যায়নি তাঁকে৷ তাঁর দায়িত্ব পালন করেন পীযূষ গোয়েল৷

উল্লেখ্য, মোদী-১ ক্যাবিনেটে তিনি অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ই জিএসটি ও নোটবন্দির মতো বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

আমার সকাল : অরুন জেটলির মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২০ অগস্ট হাসপাতালের এক মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের একটি দল সর্ব ক্ষণ নজর রাখছিলেন তাঁর উপর। সেই অবস্থাতেই শনিবার দুপুর ১২টা  ৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন