নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশের বিপুল জনসর্মথনে ভর করে দ্বিতীয়বারের জন্য দেশের মসনদে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।আর তারপর থেকেই তাঁর একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ দেখে মোদী জয়জয়কার দেশজুড়ে। আর এই খ্যাতি শুধু দেশের মধ্যে নেই। ছড়িয়ে পড়েছে অন্য দেশেও।ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পরেই পাকিস্তান বলেছিল, এর বিরুদ্ধে তারা আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করবে। সেইমতো রাষ্ট্রপুঞ্জে ও অন্যত্র ভারতবিরোধী প্রচারও চালিয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
আরো পড়ুন: সন্ত্রাসে মদত! পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করল এফএটিএফ
কিছুদিন আগে তিনটি দেশ সফরে গিয়েছেন মোদী। ফ্রান্স ঘুরে শুক্রবার তিনি পৌঁছেছেন আমিরশাহিতে। এর পরে তিনি যাবেন বাহরিনে।শনিবার তাঁকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘অর্ডার অব জায়েদ’ দিয়ে সম্মান জানাবে আমিরশাহি।
শনিবার আবুধাবিতে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মোদী। তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক বিষয়ে কথাও বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই তাঁকে অর্ডার অব জায়েদ সম্মান দিয়ে সম্মান জানান জায়েদ আল নাহান। এবছর এপ্রিল মাসে মোদীকে ওই সম্মান দেওয়া কথা ঘোষণা করে আমিরশাহি।
আমার সকাল : প্রথমে মোদী! পরে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের কাছে কড়া ‘ধমক’ খেল পাকিস্তান
শেখ জায়েদ বিন সুলতান অল নাহিনের নামে ওই সম্মান দেওয়া হয়। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জন্মশতবর্ষেই মোদীকে অর্ডার অব জায়েদ সম্মান দেওয়া হচ্ছে।জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করার পর পাকিস্তান যখন ভারতের বিরুদ্ধে জোরদার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, তখন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজের সদস্য দেশ হিসাবে প্রথম ভারতকে সমর্থন করেছিল আমিরশাহি। ভারত ৩৭০ ধারা রদ করার পরদিনই আবু ধাবি থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করার জন্য ভারত এই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে প্রথমবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সফর করেন মোদী। তার পর থেকে একাধিক বাণিজ্যিক চুক্তি হয়েছে দুদেশের মধ্যে। ২০১৭ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরশাহির ক্রাউন প্রিন্স। পরের বছর ফের ভারতে এসেছিলেন নাহান।