নিজস্ব প্রতিনিধি : মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বিশ্বের সেরা পুলিশ অফিসার বলছেন! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাকে সেরা অফিসার বলেন তাতে আমার কী করার আছে, আমি কি তাঁকে বলছিলাম আমাকে সেরা অফিসার বলার জন্য? রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যদি আমার বাড়িতে আসেন, আমি কি তাঁকে না বলতে পারি? তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি প্রিয় হওয়ার জন্যই কি রাজীব কুমারকে বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই? আজ কলকাতা হাইকোর্টে এমনই প্রশ্ন তুললেন রাজীব কুমারের আইনজীবী।
গতকাল, বৃহস্পতিবার-ই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল রাজীব কুমারকে। কিন্তু ৮ অগাষ্ট তিনি হাজিরা দেননি সিজিও কমপ্লেক্সে। কিন্তু সিআইডির এক অফিসার সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা করেন। সিআইডি ওই অফিসার জানায়, রাজীব কুমার দেখা করার জন্যে ২ সপ্তাহ সময় চেয়েছেন।
আজ শুক্রবার রাজীব কুমারের আইনজীবী আদালতে জানান, নোটিসে সাড়া দিতে গেলে কলকাতা পুর এলাকা ছাড়তে হবে। এখন হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না রাজীব কুমার। আদালতের নির্দেশ সেক্ষেত্রে সংশোধন করা প্রয়োজন বলে জানান রাজীবের আইনজীবী।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। এরপর আজ শুনানি পর্বের পর বিচারপতি মধুমতী মিত্র নির্দেশ দেন, রোজভ্যালি তদন্তে সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে বাধা নেই রাজীব কুমারের। এরপর সিবিআই আবার নোটিস পাঠালে বিধাননগরে যেতে পারবেন রাজীব কুমার। তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। এদিন শুনানি শেষে রাজীব কুমারের গ্রেফতারের উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল আদালত। আগামী ২০ অগস্ট পর্যন্ত বহাল থাকবে স্থগিতাদেশ।
তবে এখনও সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিলেন না রাজীব। হাজিরা পিছাতে এবার রাজীব কুমারের ঢাল ধারা ৩৭০। তিনি বলেন, ৩৭০ বিলোপের ফলে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই রোজভ্যালি তদন্তে হাজিরার জন্য কিছুটা সময় দেওয়া হোক। যদিও সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৯ অগাস্ট।