নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবারই নিজেকে ‘কাশ্মীরের দূত’ বলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর SSG কম্যান্ডো পাঠিয়ে দেন। এবার আরও একধাপ এগিয়ে যুদ্ধের কথা জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের মন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ। ‘‘অক্টোবর-নভেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হবে’’— বুধবার রাওয়ালপিন্ডিতে সাংবাদিকদের বলেছেন শেখ রশিদ। এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেন, ‘‘এটাই হবে দু’দেশের মধ্যে শেষ যুদ্ধ’’।
— aamarsakal.com (@aamarsakal) August 28, 2019
৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৫ অগস্ট। তার পরে পরেই বন্ধ হয়ে যায় ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করা দিল্লি-লাহৌর সমঝোতা এক্সপ্রেস। মুনাবো খোকরাপাড় সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতকারী যোধপুর-করাচি থর এক্সপ্রেসও বাতিল ঘোষণা করে ইসলামাবাদ।
আরো পড়ুন: মধ্যস্থতা নয়, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের ব্যাপার! মোদীর ইংরাজি বলাকে হেসে ওড়ালেন ট্রাম্প
আর সেই সময়ই পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ ঘোষণা করেছিলেন তিনি রেলমন্ত্রী থাকলে দু’দেশের মধ্যে কোনও ট্রেন চলবে না। কিন্তু এ বার সরাসরি যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণীই করে বসলেন সেই রশিদ। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের কারণ যে কাশ্মীরই হতে চলেছে, তা নিয়ে ‘কোনও সন্দেহ’ নেই বলেও জানিয়েছেন ইমরান খানের মন্ত্রিসভার এই সদস্য।
এছাড়াও কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম দেশগুলির ভূমিকা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের অনীহা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শেখ রশিদ আহমেদ। রশিদ বলেন, ‘সমাধান চাইলে কাশ্মীরে গণভোট করাতে পারত রাষ্ট্রপুঞ্জ।’ এদিকে, আজ হঠাৎই নোটাম (NOTAM) ইস্যু করে পাকিস্তান। নোটাম বা (নোটিস টু এয়ারমেন) জারির পিছনে করাচির কাছে মিসাইল পরীক্ষার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই খবর ANI-এর। করাচির আকাশপথও সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে ইসলামাবাদ।
তবে আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাকমন্ত্রী বলেন, ‘‘অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ দেখতে পাচ্ছি। তার জন্য দেশকে তৈরি করছি। মোদীকে চিনতে অনেক বড় বড় নেতা ভুল করেছেন, কিন্তু আমি ভুল করিনি।’’ এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘‘বর্বর ও ফ্যাসিস্ত নরেন্দ্র মোদীর জন্যই পাকিস্তান ধ্বংসের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। মোদীর সামনে পাকিস্তানই একমাত্র বাধা।’’