আমার সকাল : অবৈধ গরুপাচারের সময় অবলা প্রানিগুলির নিষ্ঠুর পরিনতি চোখে দেখা যায়না

নিজস্ব প্রতিনিধি : মরে পচে যাওয়া গরু বিষিয়ে তুলছে গঙ্গা ও পদ্মা নদীকে। আজ জগতাই মুক্তিধাম শশ্মানের ঘাটে প্রায় ১৫ টি গোরুর মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখা গেল। গোরুগুলি বাংলাদেশ পাচারের উদ্দেশ্যে অভিনব কায়দায় বাঁশ ও কলাগাছের কান্ড দিয়ে তৈরি ভেলায় বেঁধে নদীতে ছেড়ে দেয় গোরু পাচারকারীরা। অসহায় নিরীহ প্রাণীগুলি নদী পার হতে না পেরে জলে ডুবে মারা যায়। তীরবর্তী মানুষের অনেক প্রতিবাদেও প্রশাসনের কারও ঘুম ভাঙছে না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অরঙ্গাবাদ, নিমতিতা, ধুলিয়ান এলাকায় যে ভাবে ব্যাপক হারে গোরুপাচার বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসন ও BSF দের ভূমিকা নিয়ে।

এই নিরীহ প্রাণীগুলোর এরকম পরিণতির জন্য কী শাস্তি হবে না ওই অমানুষ জানোয়ার পাচারকারীরদের।

অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের সুতি সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশে পাচার করার পথে প্রায় প্রতিদিনই কয়েকশো করে গরু উদ্ধার করে বিএসএফ। তারপর পাচারকারীদের সঙ্গেই সেই পশুদেরও তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। থানা থেকে এই সমস্ত পশু চলে যায় স্থানীয় খোঁয়াড়গুলিতে।

এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন, খাবার ও যত্নের অভাবে সুতি থানা এলাকার বিভিন্ন খোঁয়াড়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টি গরুর মৃত্যু হয়। মৃত পশু মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কথা বলা হলেও খোঁয়াড় মালিকরা এ গুলিকে ট্রাক্টরে চাপিয়ে কখনও ফেলে দিচ্ছেন গঙ্গায়, কখনও পদ্মায়। মড়া পশুর দুর্গন্ধে ঘাটের কাছে ঘেঁসতে পারছেন না মানুষ।

বিএসএফ এর ডিআইজি মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ কুণাল মজুমদারের দাবি,  আটক হওয়া গরুগুলিকে জিডি করে পুলিসের দায়িত্বে দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর আর তাঁদের কোনও দায় নেই।

আর জেলার পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ বললেন, তাঁদের হাতে বিএসএফ উদ্ধার হওয়া পশু তুলে দেয় বটে, কিন্তু তা তাঁরা আবার আইন মেনে তুলে দেন বিভিন্ন খোঁয়াড় মালিকের হাতে।

তবে মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেন বলেন, “এ বিষয়টা আমাদের জানা ছিল না। খুবই অনুচিত কাজ। আমরা কড়া পদক্ষেপ করছি।”

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন