নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৫-২০ ফুট চওড়া একটি নদী। দুই পারে দুই দেশ। ভারত ও পাকিস্তান। এ পারের মানুষের কাছে সে নদীর নাম কিষানগঙ্গা, ও পারে সেটাই নীলম। সেই নদীতেই ভেসে এল পাকিস্তানের এক বালকের দেহ। প্রোটোকল ভেঙে সেই দেহ ফিরিয়ে দিল পাক সেনাবাহিনী। সেনা সূত্রের খবর, কাশ্মীরের গুরেজ এলাকার নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন নদীর তীরে এসে ঠেকেছিল সাত বছরের ছেলেটির দেহ। সেখান থেকে তিতওয়াল ২০০ কিলোমিটার দূর। তিতওয়াল হল প্রান্তিকতম সেনাচৌকি, যেখান দিয়ে দুই দেশের মধ্যেই প্রয়োজনীয় আদানপ্রদান চলে। অবশ্যই সেনাবাহিনীর কড়া প্রহরায়। সোমবার থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ফেসবুকেই তার পরিবারের সদস্যরা একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছিলেন। সেখানে সন্তানকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। শিশুটির নাম আবিদ শেখ।বান্দিপোরার ডেপুটি কমিশনার শাভাজ মিশ্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি জানতে পেরেই সেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেনাকে অনুরোধ করেন, বিষয়টি দেখতে। যাতে তাঁরা সীমান্তের ওপারে পাক সেনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহটি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।গুরেজ থানার আধিকারিক তারিক আহমেদ জানিয়েছেন, বরফ দিয়ে দেহটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে তাতে পচন না ধরে।
আবিদের দেহটি পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হয় সীমান্ত পারের অফিসারদের সঙ্গে। বলা হয় বুধবারই গুরেজ সীমান্তে দেহ তুলে দেওয়া হবে পাকিস্তানের হাতে। কিন্তু পাকিস্তান জানায় তারা এই হস্তান্তর সরকারি নিয়ম মেনে করতে চায়। তাই তারা প্রস্তাব দেয়গুরেজ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে কুপওয়ারা জেলার টেটওয়ালেআবিদের দেহ হস্তান্তর হোক।কিন্তু এই ঘটনায়, ওই ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব নিয়ে যেতে গিয়ে দেহটি পচে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এমনিতেও সে দেহ জলে ডুবে গিয়ে অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই দু’দেশের সরকারি ভাবে আদানপ্রদানের জায়গা তিতওয়ালের ২০০ কিমি আগেই গুরেজ সীমান্তে পাক সেনার হাতে দেহটি তুলে দিলেন ভারতীয় জওয়ানরা।