ভোট পর্ব মিটতে না মিটতেই লালগড়ে শুরু হয়ে গেল ভোট পরবর্তী হিংসা।একে অপরের ওপর দোষারোপ ।

নিজস্ব প্রতিনিধি :  ভোট পর্ব মিটতে না মিটতেই লালগড়ে শুরু হয়ে গেল ভোট পরবর্তী হিংসা। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সহ নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সহ তিন জন আহত হয়েছেন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানার সময়েরসাই গ্রামে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই নেতাই এর তৃণমূল কর্মী ষষ্ঠী দিগরকে ও ও পাশাপাশি গ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিতে শুরু করে বিজেপির লোক জনেরা বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ এদিন দুপুরে লালগড়ের ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো ও অঞ্জন মাহাতো নেতাই গ্রামে ষষ্ঠী দিগর এর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আসার পথে সয়েরসাই গ্রামের পাশে বিজেপির লোক জনেরা তাদের উপর চড়া হয়ে মারধর করে। স্থানীয় মানুষজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে লালগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো ও অঞ্জন মাহাতো কে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ষষ্ঠী দিগরের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় তাকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সদস্য কিশোর কুমার দে লালগড়ের এস আই চোকে তার নিজের দোকানে ছিলেন। সেই সময় অতর্কিতভাবে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূল পুলিশের সাহায্য নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। তৃণমূলের লালগড়ের ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো অভিযোগ করে বলেন নেতাই গ্রামে আমাদের কর্মী ষষ্ঠী দিগরের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার সময় সয়েরসাই গ্রামের কাছে পথ আটকায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। ষষ্ঠী দিগরের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। অন্যদিকে বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ভোটের পর থেকেই তৃনমূল এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আর আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরাও তা পাল্টা প্রতিশোধ নেব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন