পাকিস্তানের কোন ইন্দ্রজিৎ নেই ,তাই রাডার কাজ করবেনা বুঝেই মেঘলা দিনে এয়ারস্ট্রাইক করার নির্দেশ দিয়েছিল মোদী ।

যথার্থই রাম রাবণের যুদ্ধ । প্রধান সেনাপতি মোদী । এমন অভিজ্ঞ্য যোদ্ধা বলেই দেশের সেনা জওয়ানদের মেঘলা দিনে এয়ারস্ট্রাইক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন । মেঘের আড়ালে পাকিস্তানের রাডার কাজ করতে পারবেনা , তাই খুব সহজেই ভারত তার কাজ সেরে আবার দেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারবে । কিন্তু দেশের লোক তার মহান সিদ্ধান্ত বুঝলে তো ।তাই প্রধানমন্ত্রীর করা মন্তব্য নিয়ে হাসাহাসি করছে , নেট  দুনিয়ায়  ইতিমধ্যেই  পড়েছে শোরগোল ।

আর একটা নতুন বিষয় তাঁর সম্বন্ধে আমাদের অজানা ছিল । সেটা হল তিনি  ১৯৮৮ সালেই ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেছিলেন।সেই ক্যামেরা থেকে  লালকৃষ্ণ আডবানীর রঙিন ছবি তুলেছিলেন মোদি। এমনকী সেই সময়ই ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-মেল করতেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির এই বক্তব্য নিয়েই হাসির রোল উঠছে নেটদুনিয়ায়। আসলে, প্রধানমন্ত্রী যে সময় ডিজিটাল ক্যামেরা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার কথা বলছেন, সেসময় ভারতে ডিজিটাল ক্যামেরা পা-ই রাখেনি, ইন্টারনেট ব্যবহারও শুরু হয়নি।

সাক্ষাৎকারে ঠিক কী বলেছিলেন মোদি? নিউজ নেশন নামের বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”১৯৮৭-৮৮ সাল নাগাদ আমি প্রথমবার ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করি। সেসময় খুব কম মানুষেরই ইমেল আইডি ছিল।তখন

আডবানীজীর একটা জনসভা ছিল, আমি আমার ডিজিটাল ক্যামেরাটা দিয়ে তাঁর একটা ছবি তুলেছিলাম। সেসময় ডিজিটাল ক্যামেরা বড়সড় ছিল। তো ছবিটা তুলে আমি দিল্লিতে পাঠিয়ে দিই। একটি রঙিন ছবি ছাপা হয়েছিল। সবাই চমকে গিয়েছিল রঙিন ছবি দেখে। এমনকী আডবানীজিও চমকে যান। বলেন, আজ আমার রঙিন ছবি ছাপা হল কীভাবে!

মোদির এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়ায় তাঁকে নিয়ে হাসির রোল পড়ে যায়।কেউ বলছেন, মোদির মতো মিথ্যুক কেউ হতেই পারে না।কেউ কেউ বলছেন, এমন একজন মিথ্যুক ভারতের প্রধানমন্ত্রী, এটা লজ্জার।কারন যে সময় মোদি ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করার দাবি করছেন, সেসময় ভারতে ডিজিটাল ক্যামেরা পাওয়াই যেত না। ভারতে প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা বিক্রি শুরু হয় ১৯৯০ সাল নাগাদ। এদিকে, মোদি বলছেন ১৯৮৮ সালেই তিনি ই-মেল ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ভারতে সরকারিভাবে ই-মেল চালু হয় ১৯৯৫ সালে।  

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন