নিজস্ব প্রতিনিধি :অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে নির্বাচনী জনসভা করে গেলেন বুধবার ঝাড়গ্রামের লালগড়ে। তিনি রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের তরুণ তুর্কি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কে সঙ্গে নিয়ে জনসভা করেন।

এই প্রথম ভারতবর্ষের অন্য কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে যেমন সওয়াল করলেন, তেমনি বিজেপিকে চরম দোষে দুষ্ট করলেন। চন্দ্রবাবু নাইডু তিনি তার ভাষণে বলেন, এই এলাকা গুলো মাওবাদী অধ্যুষিত ছিলো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার ফলে এলাকায় শান্তি ফিরেছে। এটা ভারতবর্ষের কাছে শিক্ষনীয়। এখন বেঙ্গল টাইগার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।আমি বলছি তিনি ইলেকশন এর পরে দেশের রয়েল বেঙ্গল টাইগার হবেন। আপনারা যদি দিদি কে লোকসভার সমস্ত আসন দেন তাহলে উনি অনেক অনেক কাজ করতে পারবেন। প্রধান মন্ত্রী নিজেকে সৎ বলে দাবি করেন। কিন্তু উনি দেশের সবচেয়ে দুর্নীতি গ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ফেজে এমন কি আমার রাজ্যেও একদফা ভোট হয়েছে। কিন্তু কয়েকটা সিটের আশায় এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হ্যারাস করার জন্য এই সব করা হচ্ছে। এখানে আমার বিশ্বাস , ওরা একটা সিট ও পাবেনা। এই নির্বাচন মোদীর শেষ নির্বাচন।আগামী দিন, দেশ নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছেন।

নোটবন্দী করে উত্তরপ্রদেশে ইলেকশন করেছেন।পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের প্রয়োজনে কদিন মোদী এরাজ্যে এসেছেন? কতবার পার্লামেন্টে গেছেন? আর কতবার বিদেশে গেছেন। এখন ভোট চাইতে বাংলাতে আসছেন । এবার নির্বাচনের পর দিল্লীতে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা নেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প বিশেষ করে কন্যাশ্রী এবং মহিলা দের কে ক্ষমতায়ন ও শিক্ষ্যার ব্যাপারে ভূয়সী প্রসংসা করেন এন চন্দ্রবাবু নাইডু।

ভিভি প্যাট ও ইভি এম নিয়ে দূর্নিতি করবে মোদী। তাই ৫০% ভিভি প্যাট ট্যালি করার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি এদিনের জন সভায় পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন । তিনি সাফ সাফ জানিয়ে দেন বাংলার উন্নয়ন করেছেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দেশ তার অনুসারী পথে এগোচ্ছে। আজ দেশের রাজনীতির তিনি নিয়ন্তা। নরেন্দ্র মোদী দেশকে বিপথে পরিচালিত করেছেন। আজকে দেশে কোটি কোটি বেকার, কৃষকের আত্মহত্যা করেছে, গ্যাসের দাম ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০০ টাকা হয়েছে, রেলের টিকিটের দাম ২২ শতাংশ বেড়েছে , নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে আসবে। কিন্তু সেই টাকা আজও আসেনি। আপনারা দেখেছেন বাংলায় আর কোনো নেতাই এর ঘটনা ঘটেনি, কোনো বেনাচাপড়া, কোনো নন্দীগ্রাম কোনো কেশপুর, কোনো সিঙ্গুরের মতো আর ঘটনা ঘটেনি । আমি লালগড়ের নেতাই এসে মানুষের লাশ কুড়িয়েছি।

২০১১ সালের আগে এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। জঙ্গলমহলে এমন কোনও অঞ্চল নেই যেখানে আমি যাইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর জঙ্গলমহলের মৃত্যু মিছিল রুখে দিয়েছেন। ছত্রিশগড়ে আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চলছে। কুর্মিদের জন্য বোর্ড গঠন করছেন। সাঁত্ততালি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন ঝাড়্গ্রামে নরেন্দ্র মোদির সভায় ঝাড়খণ্ড থেকে লোক নিয়ে এসে মাঠ ভর্তি করেছিল। আজ জঙ্গলমহল শান্ত। জঙ্গলমহলে শান্তি উন্নয়নের জোয়ার বইছে। আপনারা বাংলার মানুষেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্ত করুন বাংলার উন্নয়নের জন্য।