বারে বারে শহর লাগোয়া একেবারে শহরের উপকন্ঠে পৌছে যাচ্ছে হাতির দল।

নিজস্ব প্রতিনিধি  : দলমার দলেই হোক বা রেসিডেন্সিয়াল কোনওভাবেই তাদের টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না জঙ্গলে। বারে বারে শহর লাগোয়া একেবারে শহরের উপকন্ঠে পৌছে যাচ্ছে হাতির দল। মঙ্গলবার রাতে ফের একটি হাতি ঝাড়্গ্রাম শহরের চাঁদাবিলা এলাকায় প্রবেশ করে এক বাইক আরোহীকে ধাওয়া করে। তবে বাইক আরোহী কোনও ক্রমে বাইক ছেড়ে পালিয়ে গেলে তাঁর বাইকটিকে ভেঙ্গে চুরমার করে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনের। অন্যদিকে ওই দিন রাতে জাম্বনী ব্লকের ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী মুড়াকাটি জঙ্গল লাগুয়া দলমা দলের সামনে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় এক যুবক। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বারে বারে হাতির দল জাম্বনী ব্লকে লালবাঁধ, মুড়াকাটি, বাঁকড়া, ঘুটিয়া সহ পাশাপাশি গ্রামে প্রবেশ করে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষজন উপর হামলা চালাচ্ছে। যার ফলে ব্যপক আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন সীমান্তবর্তী গ্রামীন এলাকার মানুষজনেরা। এদিন ঝাড়্গ্রাম জেলা শহর ও শহর লাগুয়া গ্রাম গুলিতে হাতি প্রবেশ করার ফলে আতঙ্ক বাড়ছে বাসিন্দাদের মনে। বনদফতর সুত্রে জানা গিয়েছে দলমার দল এই এলাকায় থাকতে থাকতে রেসিডেন্সিয়াল হয়ে যাচ্ছে। হাতিদের দলমা ফিরে যাওয়ার পথ গুলি ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে হাতি গুলি। বেশ কিছুদিন সীমান্তে আটকে রাখার পর আর তাদেরকে আটকে রাখা যাচ্ছে না। জোর করে আটকানো চেষ্টা করলে বড় কোনও বিপদ ঘটতে পারে তাই তাদের মুভমেন্ট বুঝে তাড়ানোর হচ্ছে। এবিষয়ে ঝাড়্গ্রাম বনবিভাগের ডিএফও বাসব রাজ হেলোচ্চি বলেন “জাম্বনী এলাকায় এখনো ২০ থেকে ২৫ টি হাতি রয়েছে। সাধারণ মানুষজনের প্রতি আমার অনুরোধ হাতি দেখতে কেউ এগিয়ে যাবেন না। ওরা বন্যপ্রাণী ওদের বনে থাকতে দিন। ওদের উতক্ত করলে বিপদ বাড়বে। আর শহরের চাঁদাবিলাতে যে হাতিটি প্রবেশ করেছিল ওটা রেসিডেন্সিয়াল হাতি। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। তবে সর্বদা বনদফতর হাতি গুলির উপর নজর রাখছে। “

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন