নিজস্ব প্রতিনিধি : সদ্যোজাত শাবককে নিয়ে জোরে যেতে পারছিল না হস্তিনী। যার ফলে জঙ্গলে ঢোকার আগেই গ্রামের পাশে মাঠ দিয়ে যাওয়ার সময় সকাল হয়ে যায়। ওই গ্রামের মানুষজনেরা সদ্যোজাত হস্তিশাবকটিকে দেখতে ভিড় জমায় পাশাপাশি গ্রামের মানুষজনেরা। হস্তিশাবক দেখতে আসা মানুষজনেরা সমানতালে হাতিটিকে উত্তক্ত্য করতে থেকে। সেই সময় সদ্যোজাত হস্তিশাবকটিকে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে হাতিটি। কিন্তু হস্তিশাবকটি একেবারে সদ্যোজাত হওয়ায় অতিরিক্ত গরমের জন্য হাঁটতে সক্ষম ছিল না। শেষে শুঁড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল মা হাতিটি কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয় সদ্যোজাত হস্তিশাবকের। এরপরেই হস্তিনীটি রেগে গিয়ে আক্রমনাত্মক হয়ে তেড়ে এসে হামলা চালিয়ে এক যুবককে প্রথমে শুঁড় দিয়ে আছাড় মারে। পরে পা দিয়ে একেবারে পিষে দিলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় যুবকের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে লালগড়ের আজনাশুলি গ্রামের পাশে পাখিরবাঁধ এলাকায়। বনদফতর সুত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই যুবকের নাম শৈলেন মাহাতো(৩৩)।বাড়ি ধরমপুর অঞ্চলের বাঁধগোড়া গ্রামে।আর এই ঘটনার পর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে আরো দশ বারোটি হাতি।ঘিরে ফেলে এলাকা। উপস্থিত বনকর্মীরাও হাতি গুলিকে জোর করে এলাকা থেকে সরানোর চেষ্টা করেনি। দীর্ঘ সময় পর হাতিগুলি নিজেরা এলাকা সরলে,পুলিশ বনদফতর মৃত ওই যুবক এবং শাবক হাতিটিকে উদ্ধার করে।বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে দলে সদ্যজাত থাকলে হাতির দল দুভাগে ভাগ হয়ে যায়।একটি দল সদ্যজাতকে রক্ষা করার জন্য আগে থাকে এবং অপর দলটি পিছনে থাকে।এদিন দশ থেকে বারো টি দলমা দলের হাতি সদ্যজাত শাবককে নিয়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়ে।এই দল টির মা হাতিটি সদ্যজাত আরো পিছিয়ে যায়।বাকি হাতি গুলি জঙ্গলে চলে যায়। আজনাশুলি গ্রামের কাছে খালের ধারে একটু ধীর পায়ে সন্তানকে নিয়ে হেঁটে জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল।কিন্তু উৎসাহী মানুষের ভীড়,চিৎকার আর ক্রমাগত ঢিল ছোড়ার ফলে হাতিটি আগের থেকে উত্তক্ত্য হচ্ছিল।তার উপর শাবকটি তীব্র গরমে ক্রমশ নেতিয়ে পড়ছিল।তাকে বাঁচানোর জন্য শুঁড়ে করে জল দিয়ে বা কখনো ধাক্কা দিয়ে ওঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল।কিন্তু শাবক হাতিটি ততক্ষেনে মারা যায়।এদিকে মানুষ জন তখনো একইভাবে ভিড় জামিয়ে উত্তক্ত্য করছিল,চলছিল ছবি,ভিডিও তোলার পালা।সদ্য সন্তানহারা ক্ষিপ্ত হস্তিনীটি ভীড়ের দিকে ছুটে গিয়ে এক যুবককে আছাড় মারে।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। স্থানীয় যুবক প্রত্যক্ষদর্শী আশিস মন্ডল বলেন“ গ্রামের পাশে খালের ধারে হাতিটি শাবকটিকে নিয়ে ছিল। শাবাকটি মারা গিয়েছিল।অনেক মানুষ জমেছিল হাতি দেখতে।অনেকে ছবি তুলছিল।তার মধ্যে হঠাৎই হাতিটি ছুটে এসে শৈলেন মাহাতো নামে ওই যুবকের দিকে।ধরে ফেলে তাকে শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড় মারে।আর এপরপরেই জঙ্গল থেকে প্রায় দশ বারোটি হাতি বেড়িয়ে এসে জায়গাটি ঘিরে নেয়। ”এই বিষয়ে মেদিনীপুরের ডিএফও সন্দীপ কুমার বেরওয়াল বলেন “ দলের একটি হাতি বাচ্চা দিয়েছিল।শাবকটি মারা যায়।হস্তিনীটি উত্তক্ত্য হয়ে এক যুবককে আক্রমন করে মেরে ফেলে।শাবক হাতিটির ময়নাতদন্ত হবে।” বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে লালগড়ের বিভিন্ন জঙ্গলে দুটি দলমা দল রয়েছে।একটি দলে ।