নিজস্ব সংবাদদাতা: পরপর ছ’টি বিস্ফোরণের রেশ এখনও কাটেনি। নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তারমধ্যেই এ বার ফের জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কলম্বোর দেহিওয়েলা। শ্রীলঙ্কা প্রশাসন সূত্রে খবর, দুপুর ২টো নাগাদ সপ্তম বিস্ফোরণ ঘটে। তার কিছুক্ষণ পরেই আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণে দু’জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই এলাকাতে পৌঁছেছে সেনা। তল্লাশি চালানো হচ্ছে এলাকা জুড়ে। কারফিউ জারি করা হয়েছে কলম্বোতে।রবিবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত আটটি বিস্ফোরণ ঘটেছে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো-সহ সংলগ্ন এলাকায়। রবিবার সকালে রাজধানী কলম্বোর কয়েকটি তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮৫ জনের নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন তিনশোরও বেশি।

কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। গির্জায় ইস্টারের প্রার্থনা চলাকালীন এই হামলা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ন’জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন।ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। একটি টুইট করে তিনি বলেন, এ জাতীয় হামলা একেবারেই কাপুরোষোচিত। দেশের প্রতিটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও দৃঢ় মনের পরিচয় দিতে অনুরোধ জানান তিনি।শ্রীলঙ্কা প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার সকালে পরপর ছ’টি বিস্ফোরণের পরে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার রাজধানী। পুরো কলম্বো জুড়ে শুধুই আহতদের আর্তনাদ,আর যেন শহরের রাস্তায় বইছে রক্তের স্রোত। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল প্রশাসনকে। জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানীতে নামাতে হয় সেনা। তল্লাশি চালানো হয় হোটেল-রেস্তোরাঁতে।পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। গোটা দেশের লোক আতঙ্কিত। আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে কলম্বোতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। সাধারণ মানুষকে রাস্তায় বেরাতে বারণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বড় হোটেল-রেস্তোরাঁতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দোকান-পাঠ সব বন্ধ রয়েছে। কলম্বোর রাস্তাঘাট শুনশান। খালি বুটের আওয়াজ, অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন।