জঙ্গি হামলার পরে সব রকমের মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ হল শ্রীলঙ্কায় ।

 

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জানিয়েছেন,পরিচয় প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে- এরকম সব ধরনের মুখ ঢাকা পোশাক জরুরি বিধির আওতায় জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নিষিদ্ধ করা হল। পাশাপাশি অল সিলন জমিয়াতুল উলামা নামে একটি মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকেও মুসলমান নারীদের মুখ ঢাকা বোরখা বা নেকাব ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।শ্রীলংকার দুই কোটি বিশ লাখ জনসংখ্যার মোটামুটি ৭০ শতাংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। আর মুসলমানের সংখ্যা ১০ শতাংশের মত। মুসলমান নারীদের মধ্যে খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ সেখানে বোরখা বা নেকাব ব্যবহার করেন বলে তথ্য দিয়েছে বিবিসি।  

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের আদেশে বোরখা, নেকাব বা হিজাবের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা না হলেও মূলত ওই ধরনের মুখ ঢাকা পরিধেয় বন্ধেই এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।আজ সোমবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।সিরিসেনার সরকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবং জঙ্গি চিহ্নিতকরণে সুবিধার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

আগের সপ্তাহের ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কার তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলসহ আট জায়গায় একযোগে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়, যাতে নিহত হন ২৫৩ জন নিরীহ জনসাধারন।মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল  আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে শ্রীলঙ্কা সরকারের ধারণা, স্থানীয় মুসলিম জঙ্গি দল ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত (এনটিজে) ও জমিয়াতুল মিল্লাতু ইব্রাহিম-জেএমআই কোনো বিদেশি জঙ্গি দলের সহায়তায় ওই হামলা চালিয়েছে।এর পর দেশ জুড়ে অভিযান চালায় শ্রীলঙ্কার সেনা। শহিন্দামারুদুতে জঙ্গি-সেনা সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ১৫ জনের। এর মধ্যে ৬ জন আত্মঘাতী জঙ্গি রয়েছে। ৩ মহিলা এবং ৬ শিশুরও মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

ওই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। জরুরি অবস্থার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আরও হামলার আশঙ্কার কথা জানানোয় ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপ দেশে জারি রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। 

 

 
 

 

 
 

 

 
 
 

 

 
 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন