মায়ের আর্তি

নিকষ কালো অন্ধকারে শুধু তুই আর কতগুলো হিংস্র শ্বাপদের দাপাদাপি। ভয়, লজ্জা, ঘৃণা, আতঙ্ক, ক্রোধ নিয়ে লড়তে লড়তে একসময় তুই হাল ছেড়ে দিয়েছিলি! তোর ভয়ার্ত চিৎকার  হাল ছেড়ে দিয়েছিল নৃশংশ অত্যাচারের যন্ত্রণার কাছে। 

তোর মনে হচ্ছিল নর পিশাচ গুলোর হাত থেকে কোনোভাবে নিস্কৃতি পেলেই একছুটে মায়ের কোলে মুখ লুকোবো। বাবার কাছে সান্তনা খুঁজবো। প্রেমিকের কাছে গিয়ে আর্তচিৎকারে পশু গুলোকে নিকেশ করার আর্জি করবি। সে-সময় তো তোকে দিল না রে ওরা!


 কেনই বা দেবে ভয় আছে যে সততার ভয়। মুখোশ খুলে যাবার ভয়। আসলে খুব ভিতু ওরা। তাই শুধু আড়াল খোঁজে। রাজনৈতিক আড়াল, প্রশাসনিক আড়াল, আইনি  আড়াল আর-ও কতো কতো জটিল গলিঘুঁজি দিয়ে পালিয়ে পিঠ বাঁচানো অন্ধ আড়াল। ছাড়িস না মা তিল তিল বদলা নিবি। আগুনে জিহ্বা দিয়ে দগ্ধ করে দিবি সব অপরাধী মানসিকতা গুলো কে। যেন তোর আর্তচিৎকার ফিরে আসে ওদের গলায়।
https://x.com/aamarsakal/status/1823985232254537777?t=qo2MDBfuWT1mlbWZ6q1r4g&s=19
 আর যারা চোখে দেখেও দেখে না, কানে শুনেও শোনে না তাদের ওই একই চিতার আগুনে পুড়িয়ে জ্বলে পুড়ে খাক করে দে। পারবি তো মা, আমরা যে অথর্ব,  হতচ্ছাড়া, অপদার্থ পারিনা  সন্তান কে সুস্থ সমাজ দিতে, সুস্থ জাতি দিতে, স্বাস্থ্যকর স্বত্বা দিতে। ক্ষমা করে দিস মা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন