কর্মক্ষেত্র হোক বা উইকএন্ড ট্যুর, কে না চায় নিরাপদ ও সুস্থ স্বাভাবিক জার্নি?
কথায় আছে, 'যা দেবে অঙ্গে, তাই যাবে সঙ্গে'। হাতে যখন রয়েছে স্মার্ট ফোন, তখন শহর, শহরতলী বা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল যেখানেই মনে হবে আপনি সমস্যায় তখনই চিন্তা 'গন, মোবাইল ফোন ইজ অন...'
১০৭৩- টোল ফ্রি নম্বর। যেখান থেকে প্রতিনিধিরা দিনের ২৪ ঘণ্টাই যে কোনো সময়, চলমান গাড়ি হঠাৎ মাঝ রাস্তায়, উড়ালপুলে বা প্রত্যন্ত জায়গায় খারাপ হয়ে গেলে কিংবা বিপদে পড়লে; ঠিক কী করণীয়, কোথায় মেরামতের কারখানা রয়েছে, কিভাবে মানুষকে উদ্ধার করে বিপদমুক্ত করা সম্ভব... ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় তৎক্ষনাৎ সহায়তা করেন।
সঙ্গে রয়েছে কিছু গাড়ি মেরামতির অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অ্যাপ। যার মাধ্যমে আপনি শুধু গাড়ি ব্রেকডাউন সংক্রান্ত সমস্যাই নয়; আরও বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য, সমাধান ও যোগাযোগ পেতে পারবেন।
পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে এই অ্যাপগুলি কার্যকর এবং যে কোনো জায়গায় ও পরিস্থিতিতে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে মানুষের পাশে ভরসা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন এরা।
অ্যাপগুলি:
MeriCAR
GoBumper
StandD
Help On Wheels
BreakDown
CARPUT
সারা দেশে বিশাল কর্মকাণ্ডের এই পরিষেবাকে "অন রোড ভেহিকল ব্রেকডাউন অ্যাসিস্ট্যান্স (ওআরভিবিএ)" বলা হচ্ছে। এই পরিষেবামূলক অ্যাপগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সরকারী স্বীকৃত ও কাজে দক্ষ লাইসেন্স প্রাপ্ত বহু মেকানিক।
যদি কোনও গ্রাহক তার ফোনে এই অ্যাপগুলি রেজিষ্টার করে রাখেন, তাহলে যে কোনো মুহুর্তে, যে কোনো সমস্যায় তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানো হয় এমনকি অনেক বিপদও এড়ানো সম্ভব হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনো সমস্যা হলেও, পরিস্থিতি বুঝে দক্ষ মেকানিক পাঠিয়ে তড়িঘড়ি সমস্যার সমাধান করা হয়। এছাড়া এই অ্যাপ-এর মাধ্যমে পুরো বিষয়টা মনিটরিং হয়, যাতে কোনো মেকানিক বা গ্রাহক-এর মধ্যে অযথা সমস্যা না হয়, কোনো উপভোক্তা ভুল পথে চালিত না হয় ও কোনো মেকানিক যেন বাড়তি টাকা গ্রাহকের থেকে নিতে না পারেন এবং সর্বোপরি কাজটা ঠিকঠাক হয়।
অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন-এর পদ্ধতি (ব্যবহারকারী, মেকানিক ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটর---এই অ্যাপটিতে প্রধানত কাজ করে থাকেন):
১. রেজিষ্টার
২. লগ ইন
৩. ভিউ ডিটেইলস
৪. সার্চ রেকর্ড অ্যান্ড কলস
৫. ভিউ গুগল জিও লোকেশন
৬. পোস্ট ফিডব্যাক
পরিবহন মন্ত্রী:
"রাজ্যের এই প্রয়াসের প্রচার যত বাড়বে, ততই মানুষ সচেতন, চিন্তামুক্ত হয়ে রাস্তায় বেরোতে পারবেন। তবে নিজের সচেতনতার উদ্যোগ মানুষকে নিজেকেও অনেকটা নিতে হবে।
তবুও বিপদ কখনও বলে আসে না। এই ধরণের একাধিক পরিষেবা মানুষের সুবিধার্থে ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টায় শুরু করা হয়েছে। আগামীদিনে এই পরিষেবার মূল্যায়ন-এর উপর ভিত্তি করে এবং টেকনোলজিকে আরও উন্নত ও সহজলভ্য করে কিভাবে সব মানুষের মধ্যে এই পরিষেবাই শুধু নয়, সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা যায় এবং দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় কিভাবে বিশেষ পরিষেবা দেওয়া সম্ভব সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।"