পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চাঁদের বাড়ি পাড়ি দিলেন তরুন মজুমদার।

চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি যুগের সমাপ্তি ঘটে গেলো। ইহলোকের মায়া ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি সিনে পরিচালক তরুন মজুমদার। ৯১ বছর বয়সে বার্ধক্য জনিত কারণেই মৃত্যু হলো তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি আর হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন নবতিপর পরিচালক। কয়েকদিন আগে ভেন্টিলেশনের সাহায্য নিতে হয়েছিল তাঁর। আজ সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। গত ১৪ ই জুন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল,  অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিন কয়েকের মধ্যেই উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে  স্থানান্তরিত করতে হয় তাঁকে। কিছুদিন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি এই ভালো এইখারাপে ওঠানামা করছিল। কিন্তু গতকাল রাত থেকে ক্রমশঃ তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। ফলে রবিবার ফের ভেন্টিলেশনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু চিকিৎসক দের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বেলা ১০ টা ৪০ মিনিট নাগাদ  পরলোকে গমন করলেন তিনি। বিগত দু দশকেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস্যা য় কাবু ছিলেন পরিচালক। সঙ্গী হয়েছিল ডায়াবেটিস ও!  কিন্তু কোনো কিছুই বিশেষ কাবু করতে পারেনি প্রবীণ পরিচালক কে।
প্রবীণ পরিচালক তাঁর শেষ ইচ্ছা তে জানিয়ে গিয়েছিলেন যাতে কোনোরকম আড়ম্বর তাঁর শেষ যাত্রায় জানানো না হয়। তাঁর সেই ইচ্ছা কে সম্মান জানিয়েই কোনো আড়ম্বর  হচ্ছে  না তাঁর শেষ যাত্রায়। এবং এসএসকেএমের অ্যানাটমি বিভাগে তাঁর দেহ দান করে গিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র শেষ বারের মত এনটিওয়ান স্টুডিও তাঁর অফিসে মরদেহ রাখা থাকবে কিছুক্ষণের জন্য।  সেখানেই তাঁর ভক্ত ও অনুরাগী রা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন প্রিয় পরিচালক কে।
একাধিক জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তরুণ মজুমদার। তাঁর ঝুলিতে আছে দেশ বিদেশের খ্যাতি। পেয়েছেন পদ্মশ্রী। তাঁর একক ভাবে পরিচালিত চলচ্চিত্র গুলি হলো আলোর পিপাসা, একটুকু বাসা, রাহগির, নিমন্ত্রণ, কুহেলি, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ঠগিনী, ফুলেশ্বরী, সংসার সীমান্তে, বালিকা বধূ (বাংলা ও হিন্দি), গণদেবতা, দাদার কীর্তি, শহর থেকে দূরে, মেঘমুক্তি, খেলার পুতুল, অরণ্য আমার, অমর গীতি, ভালোবাসা ভালোবাসা,  পথভোলা, পরশমণি, আপন আমার আপন, পথ ও প্রাসাদ, আলো, ভালোবাসার আরেক নাম, চাঁদের বাড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন