বিকাশ দুবে এখনও অধরা, পলিশের একাংশই দুষ্কৃতীদের সাহায্য করছে।

এনকাউন্টারের পর থেকেই আট পুলিশকর্মী খুনে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে বেপাত্তা। মঙ্গলবার রাতে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে হরিয়ানার ফরিদাবাদের একটি হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিকাশ পালাতে সক্ষম হয়। বিকাশ দিল্লি-মথুরা হাইওয়ের উপর একটি হোটেলে লুকিয়ে ছিল।ফরিদাবাদের বাধকাল এলাকায় একটি হোটেলে সে ঘাঁটি গেড়েছিল বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রায় ৩০-৩৫ জন অফিসার সাধারণ পোশাকে এই রেইড চালায়। তবে পুলিশের গুলিতে তাঁর সাগরেদ অমর দুবে মারা পরলেও, বিকাশ গা ঢাকা দেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রায় ৩০-৩৫ জন অফিসার সাধারণ পোশাকে এই রেইড চালায়। যদিও পুলিশ বিকাশের এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের ডন ওই হোটেলেই লুকিয়ে ছিল। হোটেলের মালিক জানিয়েছেন, পুলিশ হোটেলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। হোটেলের মালিককে এক ব্যক্তির একটি ক্লিপিং দেখিয়েছিল

পুলিশ। তাতে দেখে মনে হচ্ছে অভিযুক্ত বিকাশ মুখে মাস্ক পরে হোটেলের রিসেপশনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হোটেলের মালিক স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ওই ছবি তাঁর হোটেলেরই। তবে লোকটি বিকাশ কি না, সে বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। বিকাশ দুবে সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে ডেইলি বিজনেস রিপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে তদন্তে কী উঠে আসছে, বা কখন কোথায় রেইড চালানো হবে, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশের অফিসাররা। বারবার খবর ফাঁস হয়ে অপরাধীর কাছে চলে যাওয়ায় এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাইছে না পুলিশ। কানপুরের আইজি মোহিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘প্রায় ১১৫ জন পুলিশকর্মীর উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। একদল বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি দলের সাহায্য নিয়েছি আমরা। তাঁদের হাতই তুলে দেওয়া হয়েছে ১১৫ জন পুলিশকর্মীর ফোন নম্বর। গত ১৫ দিনে ওই নম্বরগুলির সঙ্গে দুবে বা তার শাগরেদের ফোনে কোনও যোগাযোগ করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের সীমানা শিল করে দেওয়া হয়েছে। চলছে নাকা চেকিং। পুলিশের একাধিক দল সাদা পোশাকে সমস্ত হোটেল, লজ ও সম্ভাব্য এলাকায় বিকাশের খোঁজে চিরুনী তল্লাশি শুরু করেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন