করোনা আতঙ্কে থর হরি কম্প গোটা বিশ্ব। আবার তারমধ্যেই চিনে নতুন একধরনের সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে যা নাকি করোনার মতোই সংক্রামক। যদিও মানুষের শরীরে এই ভাইরাল স্ট্রেন ছড়িয়েছে কিনা তার সঠিক তথ্য এখনও মেলেনি। চিনের কয়েকটি ইউনিভার্সিটি ও চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সূত্রে জানা গেছে, এই নতুন রকম সোয়াইন ফ্লু ভাইরাল স্ট্রেনের নাম ‘জি৪’ (জি৪) । পরিচিত এইচ১এন১ মজি (এইচ১এন১) সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেনের মতোই তবে কিছুটা আলাদা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এইচ১এন১ স্ট্রেনই জিনের গঠন বদলে নতুন রূপে ফিরে এসেছে। জানা গিয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই উপসর্গ দেখা দেয় সোয়াইন ফ্লু হলে। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। চিনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জি৪ ভাইরাল স্ট্রেন জিনের গঠন বদলে এইচ১এন১ এর থেকেও বেশি সংক্রামক। করোনার মতোই মানুষের দেহকোষে এই ভাইরাল স্ট্রেন বিভাজিত হয়ে প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে। একাধিকবার বিভাজনের ক্ষমতা আছে এই জি৪ ভাইরাল স্ট্রেনের। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তার মোকাবিলায় শরীরে মাত্র ১০.৪ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। শুয়োর থেকে ছড়াতে পারে এই ভাইরাল স্ট্রেন। মনে করা হচ্ছে, শুয়োরই এদের বাহক বা হোস্ট। তবে ইন্টারমিডিয়েট রিসেপটর বা মধ্যবর্তী বাহক রয়েছে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সোয়াইন ফ্লু চট করে ধরা পড়ে না। উপসর্গ আর পাঁচটা ভাইরাসঘটিত জ্বরের মতোই। ফলে চিকিৎসা শুরু করতেই বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। ফলে দাপটও বাড়ে রোগের। করোনাভাইরাসের মতোই, প্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষায় সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়লেই আক্রান্তকে আলাদা ভাবে রাখা হয়। কারণ এই সংক্রমণ ছড়ায় হাঁচি-কাশি, আক্রান্তের সংস্পর্শ থেকেই।