প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা সেনাবাহিনী উগ্রতা দেখালে কিংবা চোখ রাঙালেই ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। উপযুক্ত জবাব দেবে। সরকারের শীর্ষ সূত্রে খবর, সে ব্যাপারে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই বৈঠকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজনাথের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান তথা চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে, নৌবাহিনীর প্রধান করমবীর সিং, এবং বায়ুসেনা
Rahul Gandhi tweets again.
1. Spelling of ‘surrender’ is wrong.
2. Opposition leaders should rise above petty politics. At least during this time of crisis.
3. Such tweets help China and weaken India’s position. World will laugh at us. We should stand united. pic.twitter.com/UZNxpEQLjR— Sudhir Chaudhary (@sudhirchaudhary) June 21, 2020
প্রধান মার্শাল আরকেএস ভাদাউরিয়া। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের রাজনাথ বলেছেন, সীমান্তের জমি এবং আকাশ সর্বত্রই কড়া নজর রাখতে হবে। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। লাদাখ সংঘাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কয়েকদিন আগে বেজিংয়ের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ভারত শান্তি চায়। কিন্তু কেউ যদি মনে করে যে উস্কানি দেবে তাহলে ভারত তার উপযুক্ত জবাব দিতে জানে। অনেকের মতে, সেই মেজাজকে সেনাবাহিনীর মধ্যে তরান্বিত করতেই সীমান্তে দেশ রক্ষার সৈনিকদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে যে ভারত তার পাল্টা সামরিক প্রস্তুতি শুরু করেছে তা গতকাল শনিবারই টের পাওয়া গিয়েছে। চিনের দিকে যুদ্ধবিমান ওড়ার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের আকাশেও বায়ুসেনা বিমানের মহড়া দিয়েছে। গত ছ’সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা চলছে লাদাখে। তার মধ্যেই দুই সেনাবাহিনীর কম্যান্ড স্তরে বৈঠক চলছিল। চেষ্টা চলছিল উত্তেজনা প্রশমনের। তার মধ্যেই গতি সোমবার বিকেল থেকে তুমুল সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ভারত এবং চিনের সেনারা। প্রথমে জানা যায় ভারতের এক কর্নেল ও দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পরে জানা যায় মোট ২০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছেন চিনা হামলায়। চিনের তরফেও ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করা হয়। তবে বেজিং স্পষ্ট করে পরিসংখ্যান দেয়নি। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, ৪৩ জন চিনা সেনা হতাহত হয়েছে।