নির্মমভাবে গর্ভবতী হাতি হত্যার ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানালেন রতন টাটা। সঠিক বিচার এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও করেছেন তিনি। টুইটারে পোস্ট করে রতন টাটা লিখেছেন, “আমি মর্মাহত, স্তম্ভিত। একটি অবোলা, গর্ভবতী হাতিকে কীভাবে বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খাওয়াতে পারে মানুষ! কতটা নিষ্ঠুর হতে পারলে এই কাজ করা যায়।” এমন অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। নিরীহ প্রাণীদের প্রতি এমন অপরাধমূলক আচরণ ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ খুনেরই মতো, বলেছেন প্রবীণ শিল্পপতি। এই অপরাধের যথাযোগ্য বিচারের দাবিও করেছেন তিনি। পাশাপাশি ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলছেন, এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার।
Central Government has taken a very serious note of the killing of an elephant in Mallapuram, #Kerala. We will not leave any stone unturned to investigate properly and nab the culprit(s). This is not an Indian culture to feed fire crackers and kill.@moefcc @PIB_India @PIBHindi
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) June 4, 2020
টুইট করে তিনি বলেছেন, বাজি বা বিস্ফোরক খাইয়ে প্রাণী হত্যা ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে না। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে, প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে দেখা হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে অপরাধীরা। এই হাতি হত্যার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। সকলেই দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। প্রসঙ্গত একটি বাজি ভর্তি আনারস এক গর্ভবতী হাতিকে খেতে দেওয়া হলে মুখের মধ্যে বিস্ফোরণে মুখ ও জিভ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ওই অবস্থায় গ্রামের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছে হাতিটি।৷ল তীব্র যন্ত্রণার মধ্যেও গ্রামের একটি বাড়িরও ক্ষতি করেনি, একজন মানুষকেও জখম করেনি। ফরেস্ট অফিসার মোহন কৃষ্ণণ বলেছেন, মানুষের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানিয়ে জলসমাধির পথ বেছে নিয়েছিল হাতিটি। তা নিয়েই সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় চলছে।