প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন তাঁর বইয়ে লিখেছেন, দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাহায্য চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোথায়, কবে, কতক্ষণ দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছিল তাও নাকি লিখে দিয়েছেন ওই বইতে।বোল্টনের লেখা বই ‘ইন দ্য রুম হোয়্যার ইট হ্যাপেন্ড: এ হোয়াইট হাউস মেমোয়ের’ প্রকাশিত হওয়ার কথা আগামী ২৩ জুন। কিন্তু তার আগেই নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো প্রথম শ্রেণির সংবাদমাধ্যমে সেই বইয়ের বিষয় ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ওই বইতে মার্কিন প্রশাসনের এক সময়ের শীর্ষ কর্তা লিখেছেন, গতবছর জুন মাসে জাপানের ওসাকাতে জি-২০ বৈঠক চলাকালীন ট্রাম্প এবং শি দুজনে ২০ মিনিট বৈঠক করেন। সেখানেই নাকি ট্রাম্প চিনা প্রেসিডেন্টের শরণাপন্ন হন। বোল্টন লিখেছেন, ট্রাম্প এটা বুঝতে পারছেন যে আমেরিকার কৃষকদের ভোট তিনি এবছর আর পাবেন না। তাই তিনি শিকে অনুরোধ করেন গম,
Very soon, Pakistan will be part of China. #galwanvalleyclash You choose the side of the tyrant and oppose India yet it is you, not India, that will be enslaved. Kashmir is part of india and staying that way.
Now stop crying… https://t.co/YCB6eacPZx— David Vance (@DVATW) June 18, 2020
সয়াবিন কেনার জন্য। তিনি এও লিখেছেন’ সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণ নিয়ে ট্রাম্প যে ভাবে চিনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন, সেটাও ভোটের কৌশল। ঘরোয়া রাজনীতিতে চিন বিরোধিতার আসলে ভোট বাক্সে প্রতিফলিত করার খেলা। স্বভাবতই এই বই নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে মার্কিন মুলুকে। আন্তর্জাতিক মহলেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন বোল্টনের বই প্রকাশ রুখতে চেয়ে মামলা দায়ের করে। ওয়াশিংটনের ফেডারেল জাজ তাতে সম্মতি দেননি। কিন্তু প্রকাশ হওয়ার আগেই বইয়ের এই পর্ব নিয়ে আন্দোলিত মার্কিন রাজনীতি। ক্ষুব্ধ ট্রাম্পও। ভারতীয় সময় বুধবার রাতে ফক্স নিউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বোল্টনকে মিথ্যাবাদী বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে আইন ভেঙেছেন বোল্টন।” ট্রাম্পের হয়ে যে টিম প্রচার করে তার প্রধান বলেছেন, “বোল্টন যা দাবি করেছেন তা অবাস্তব। এর কোনও ভিত্তি নেই। নিজের বই বিক্রি বাড়াতে এসব গল্প ফেঁদেছেন প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।” যদিও বোল্টনের এই দাবি নিয়ে বেজিং এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।