চরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তান হাই কমিশনের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে সোমবার এফআইআর দায়ের করা করল ভারত। রবিবার দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল করোলবাগ এলাকা থেকে আবিদ হুসেন ও মহম্মদ তাহির নামে দুই পাক আধিকারিককে আটক করে। দিল্লি পুলিশের দাবি, অর্থ এবং আইফোনের বিনিময়ে এক ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে রেলপথে সশস্ত্র বাহিনীর চলাচল সম্পর্কিত সংবেদনশীল নথিপত্র সংগ্রহ করছিলেন পাকি হাই কমিশনের ওই দুই আধিকারিক। সেসময় হাতেনাতে তাঁদের ধরে ফেলে স্পেশ্যাল সেলের পুলিশ।
फार्म भरने से जो सर चकराया है , तो थोड़ी सर की मालिश करवा के भाई.. घर जाएगा तो फ़्रेश तो दिखना चाहिए न? वरना माँ हमारी डाँट लगा देगी। ❣️🙏 https://t.co/3ftt9gwkbD
— sonu sood (@SonuSood) June 2, 2020
সূত্রের খবর, আবিদ ও তাহিরের সঙ্গে তাঁদের গাড়ির চালক জাভেদ আখতারও ছিলেন। দু’জনকে পুলিশ আটক করলে, জাভেদ পালানোর চেষ্টা করে। তাঁকেও পুলিশ আটক করেছে। দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, আইএসআই-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করছিলেন পাক হাইকমিশনের ওই দুই আধিকারিক। সেনা গোয়েন্দা, স্পেশ্যাল সেল ও আইবি’র একটি টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা নিজেদের পরিচয় গোপন করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজেদের ভারতীয় নাগরিক বলেও দাবি করেছিল তারা। এমনকী তাঁরা ভুয়ো আধার কার্ডও পুলিশকে দেখায়। নিজেদের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে, ভারতীয় সেনা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেলকর্মীদের কাছ থেকে হাতানোর চেষ্টা করছিলেন।
.@KKRiders and #MeerFoundation have stepped forward to help the people of West Bengal overcome the crisis due to the #AmphanCyclone. With each relief measure, we hope to make a lasting difference to help the state and city get back on their feet. #PrayForWestBengal pic.twitter.com/4QSlZ0WAy4
— Meer Foundation (@MeerFoundation) May 27, 2020
দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনীল মিত্তল জানান, আবিদ হুসেন নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন গৌতম। জানিয়েছিলেন, তাঁর দাদা মিডিয়ায় কাজ করেন। তিনি ইন্ডিয়ান রেলওয়ে নিয়ে একটা স্টোরি লিখতে চান। তাই দাদার হয়ে তিনি তথ্য সংগ্রহ করছেন। এ জন্য তিনি টাকা দিতেও রাজি আছেন।
তদন্তে জানা যায়, ধৃতরা পাকিস্তান হাই কমিশনের ভিসা সেকশনে কর্মরত। জেরায় তাঁরা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ স্বীকার করে। জানান, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে তাঁরা কাজ করেন। সূত্রের খবর, এক বছর ধরে এই দুই পাক অফিসার ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন।
Kolkata, with unity comes strength and resilience. Let’s get through this together and help out those affected by Amphan. pic.twitter.com/XR5R0iGfQ2
— Shah Rukh Khan (@iamsrk) May 29, 2020
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাক হাইকমিশনের এই দুই অফিসারকে রবিবারই চরবৃত্তির অভিযোগে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
দিল্লির এই সিদ্ধান্তে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। সোমবার ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে সমন পাঠিয়ে, দিল্লির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা হয়েছে।
২০১৬ সালেও পাকচর চক্রের সন্ধান পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। মহম্মদ আখতার নামে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মী জড়িত ছিলেন। ইন্দো-পাক বর্ডারে কোথায় কত বিএসএফ জওয়ান, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। সেই সময় তাঁকেও ভারত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।