তামিলনাড়ুর অভিযুক্ত কনস্টেবল এর দাবি, "কেউ তাঁর কিছু করতে পারবে না"!

গত ১৯ জুন লকডাউনের নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট বেশি দোকান খুলে রাখায় তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে এক দোকান মালিক ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ওই দোকান মালিক ৫৯ বছর বয়সী জয়রাজ ও তাঁর ৩১ বছর বয়সী ছেলে বেনিকসের পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তুতিকোরিন পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সি প্রতাপন, অতিরিক্ত ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট ডি কুমার এবং কনস্টেবল মহাজনকে মঙ্গলবার মাদ্রাজ হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। কিন্তু কনস্টেবল মহাজন দাবি করেছেন, কেউ তাঁর কিছু করতে পারবে না। ওই কনস্টেবেলের এই মন্তব্যের পরই চারিদিকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই দুই রহস্যজনক মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, জেলা পুলিশ প্রশাসন তদন্তে বাধা দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। পুলিশের অভিযোগ, গ্রেফতার করার সময় বাবা ও ছেলে তাদের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন। তাদের নানাভাবে বাধা দিয়েছিলেন। বেনিকস মারা যান ২২ জুন। তাঁর বাবা মারা যান পরদিন। তাঁদের পরিবার অভিযোগ করেন, দু’জনেরই শরীরের বাইরে ও ভিতরে ক্ষত ছিল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনীতিক ও সমাজকর্মী অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। রাজ্য সরকার মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া টুইট করে বলেছেন, “আমি ওই ঘটনার কথা শুনে চমকে উঠেছিলাম। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কোনও ব্যক্তি যত বড় অপরাধই করুক, তার ওপরে এইরকম নির্যাতন করা উচিত নয়। অপরাধীরা যেন ছাড়া না পেয়ে যায়।” তামিল অভিনেতা জয়রাম রবি বলেন, “কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। যারা এই অমানবিক কাজ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।” ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান বলেন, “তামিলনাড়ুতে দু’জনের ওপরে নির্যাতনের খবর শুনে চমকে উঠেছি। আমাদের অবশ্যই প্রতিবাদ জানানো উচিত।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন