ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। করোনা আবহে যাতে আয়লার মতো পরিস্থিতিতে যাতে না পড়তে হয় তার জন্য আসন্ন দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকছে রাজ্য সরকারও। বাংলার সাগরদ্বীপে বুধবার সন্ধ্যায় আমফান আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পূর্বাভাস পেয়েই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের মহকুমাশাসকের দফতরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।
ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসাসনের তরফে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকে প্রকার করা হচ্ছে। এলাকাবাসীদের সচেতন করা হচ্ছে, বাইরে না বেরনোর পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।
অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে আমফানের আছড়ে পড়ার কথা সাগরদ্বীপে। সেরকমই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। আগামী বুধবার বিকালে সাগরদ্বীপের ওপর আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়টি। সেসময় তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের হাতিয়ারও।
ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল বাংলায় চলে এসেছে। একটি দল সাগরদ্বীপে ও অপরটি কাকদ্বীপের ওপর নজর রাখছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত স্থানীয় প্রশাসনও।