দফায় দফায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ চলল বিশাখাপত্তনমের এলজি পলিমার্স কারখানার বাইরে। শনিবার সকাল থেকে কারখানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে শহরের উপকণ্ঠের আরআর ভেঙ্কটপুরম এবং তার পার্শবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এই কারখানা বন্ধ করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে হবে। বিক্ষোভকারীদের একাংশ কারখানার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
সেই সময়ই গ্যাস লিক করে মারা যাওয়া কয়েকজনের দেহ শেষকৃত্যের জন্য কিং জর্জ হাসপাতালের মর্গ থেকে গ্রামে আনা হচ্ছিল। ক্ষুব্ধ জনতা অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করিয়ে দেহ নামিয়ে কারখানার গেটের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যার জেরে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, এই ঘটনায় দু’দিন আগে অভিযুক্ত এলজি পলিমার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজ্য প্রশাসন অভিযুক্তদের আড়াল করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিশাখাপত্তমের এলজি পলিমার্স কারখানার বিষাক্ত গ্যাস লিক করে, শিশু-সহ ১২ জন মারা গিয়েছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক হাজারের বেশি মানুষ। অসুস্থদের মধ্যে প্রায় পঁচিশ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিশাখাপত্তনমের এই ঘটনাকে রাসায়নিক বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)। গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন জাতীয় পরিবেশ আদালত। অভিযুক্ত সংস্থা এলজি পলিমার্সকে ৫০ কোটি টাকা অন্তর্বর্তী জরিমানা করা হয়েছে।