আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ১৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে, মারা গিয়েছেন ছাব্বিশ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে সে দেশের বিশিষ্ট সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফসির কথায়, ‘কয়েকটি শহর বাদ দিলে বেশিরভাগ জায়গাতেই নয়া সংক্রমণ কিন্তু স্থিতিশীল হচ্ছে।’ এক বার্তা ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও। তাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলি যাতে নিজেদের ইচ্ছেমতো নিষেধাজ্ঞা শিথিল না করে নির্দিষ্ট কৌশল মেনেই সাবধানে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে, সে জন্য রোডম্যাপ তৈরি করেছে তারা। অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, এমনকী স্পেন, ইতালিও কিছু কিছু ক্ষেত্র লকডাউন শিথিল করেছে। কিন্তু তাতে যে হিতে বিপরীত হতে পারে সে সতর্কতা দিতেই এই ইইউয়ের এই রোডম্যাপ।
সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,০৮৪,৭৩৫। এদিকে হু-কে দেয় অনুদান বাতিল করে বিতর্কের মুখে ট্রাম্প। ট্রাম্পের অনুদান বন্ধের ঘোষণার পরেই হু-র সাহায্যে এগিয়ে এল বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। জানা গিয়েছে তাদরে তরফে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক অনুদান দেওয়া হল হু-কে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ফ্রান্সে, ৫২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে স্পেনে। পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগের জার্মানিতেও। নতুন করে ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। তবে ব্রিটেনের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানককের আশ্বাস, নার্সিং হোমগুলিতে আরও বেশি করে পরীক্ষা হবে। অনদিকে ইরানে মৃত্যু কমেছে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ করোনা আক্রান্তের প্রাণ যায়।
এ মুহূর্তে নতুন বিপদে জাপান। বিশেষত ওসাকা শহরের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। সেখানকার চিকিৎসকদের যথেষ্ট প্রোটেকটিভ গিয়ার না থাকায় বাসিন্দাদের কাছে প্লাস্টিক রেনকোট চাইছে হাসপাতালগুলি। কিছু ডাক্তার আবার বর্জ্য ফেলার প্লাস্টিক পরেও কাজ করছেন।