এ য়ে করোনা-কাল। রোগিদের শরীরেই শুধু নয়, সাধারণের মনেও বাসা বাঁধছে করোনা। লকডাউনে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কাজ করতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। তাই সারা দেশে করোনা মোকাবিলায় পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মানুষকে সচেতন করতে কখনও গান গেয়ে কখনও বা পথে বের হওয়া অবুঝ মানুষকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠাচ্ছে পুলিশ। এবার মারণ সংক্রমণের আশঙ্কায় নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক পুলিশকর্মী। মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও থানার ঘটনাটি।
শনিবার দুপুরে ওই থানায় যখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক চলছিল সেই সময় নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করলেন ওই পুলিশকর্মী।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ৬১ বছরের এক বৃদ্ধ। পুণের ওই বৃদ্ধ সুইসাইট নোটে লিখে গিয়েছিলেন করোনা আতঙ্কে তিনি এই কাজ করেছেন। পুলিশ তাঁর ঘরে ঢুকে দেখে টিভি খোলা রয়েছে। সেই টিভির খবরে করোনা ব্রেকিং দেখাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, হতাশায় ওই বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছেন ওই বৃদ্ধ।
অপর ঘটনাটি নাসিকের। সেখানে ৩১ বছরের এক তরুণ করোনা সংক্রমণ হয়েছে বলে আশঙ্কা করে আত্মঘাতী হন। যদিও এক্ষেত্রে একটি দুর্ঘটনার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গত সপ্তাহের প্রথমদিকে করোনার ভয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ।
এর আগে অসমের যুবকের শরীরে মারণ ভাইরাস ধরা পড়ায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন তিনিও।
মহারাষ্ট্রে দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মুম্বইয়ের বান্দ্রা ইস্ট-এ সিল করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গা। গাড়ি চলাচলও কড়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মুম্বইয়ের ধারাভিও সিল করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সংখ্যায় পুলিশ কর্মী। মহারাষ্ট্রের পরে আছে দিল্লি। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬৯। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত ৯৬৯, মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। মধ্যপ্রদেশে ৫৩২ জন আক্রান্ত হলেও সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। অর্থাত্, মৃত্যুর হার মধ্যপ্রদেশে বেশি। গুজরাতেও ৪৩২ জন আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।