পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৬১,সুস্থ হয়েছেন ১৩জন: মমতা

রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি রাজ্য সরকার। তবে সোমবার নবান্নে করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজবোসীকে তঁার অনুরোধ, কোনওরকম ভয় পাবেন না, গুজবে কান দেবেন না। শরীরে কোনওরকম অসুস্থতা বোধ করলে চিকিৎসকের কাছে যান। যাঁরা ক্রনিক রোগে ভুগছেন তাঁরা বিশেষ ভাবে যত্ন নিন। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও বার্তা দেন মমতা।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির হিসেব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। ৬১-র মধ্যে ৫৫ জন ৭টি পরিবারের। করোনায় রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি ১৭ জন। আইডির ১২ জনের অবস্থা ভালো। এরই মধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ভেন্টিলেটর ছাড়াই তাঁরা সুস্থ হয়েছেন।
রাজ্যে চিকিৎসার কাজ হচ্ছে এবং নতুন পথ খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওষুধের কোনও অভাব হবে না বলে আশ্বাস দেন তিনি। পিপিই নিয়েও ভাবছে রাজ্য সরকার। তিনি জানান, এখনও ৮ লক্ষ ৯২ হাজার ৯০০টি পিপিই রাজ্যে এসে পৌঁছায়নি। ২ লক্ষ ৭ হাজার ১০০ হাতে পাওয়া গিয়েছে। মাত্র ৩ হাজার পিপিই কেন্দ্রীয় সরকার পাঠিয়েছে। এ নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পিপিই-র হলুদ রং নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। অন্যদিকে, ৫ লক্ষ N95 মাস্ক কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে মাত্র ১০ হাজার মাস্ক পাঠানো হয়েছে বলে জানান মমতা। ৭ লক্ষ ৯২ হাজার মাস্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ৭৮ হাজার হাতে এসেছে। বাকিগুলি তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যে ৯৯ শতাংশ করোনা রোগীর বিদেশি যোগ রয়েছে। দ্বি-স্তরীয় মাস্কেরও অর্ডার দেওয়া হয়েছে। সোমবারও আরও বেশ কিছু মাস্ক হাতে এসেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে ৫৪ হাজার ৮২৩ জন মানুষ হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন। সেখানে সরকার নজরদারি চালাচ্ছে। ৫১১ টি সরকারি সেফ হাউজ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সরকারের নজরদারিতে রয়েছেন ৬ হাজার ৮৭৯ জন। ৪ হাজার ১০ জনকে ছাড়া হয়েছে।পুলিশের উপর ভরসা রাখার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশংসা করেছেন পুলিশের রক্তদান শিবির নিয়ে। দমকলের কাজ নিয়েও প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন