হিন্দু ভাইদের একত্রিত হওয়ার মতো বিস্ফোরক পোস্ট করে ফেসবুকে। তারপরেই এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে ঝাড়্গ্রামের এক জুনিয়ার কনস্টেবল। এদিন বৃহস্পতিবার ঝাড়্গ্রাম পুলিশ লাইনে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলে তার এই কর্মকাণ্ড। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরী হয়। এদিন ঝাড়্গ্রাম শহরের পুলিশ লাইনে বেলা ১টা নাগাদ জুনিয়ার কনস্টেবল কর্মরত অবস্থায় হঠাৎ এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে আরাম্ভ করেন। সন্ধ্য পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি ছুঁড়তে থাকে। এদিন বিকেলের সময় শুরু বৃষ্টি, কিন্তু সময়ও চলছিল গুলি।
A mendicant journo
sought my support
having defamed
judge of a courtJudge Sawant sued
for damages claimed
jouno knew full well
he was to blameI pleaded with judge
seeking withdrawal
journo by then had
thrown in his towelNo reason
nor rhymeThe pleasure was mine
— Kapil Sibal (@KapilSibal) April 23, 2020
এদিকে পুলিশ ওই জুনিয়ার কনস্টেবলের গতিবিধি লক্ষ করার জন্য ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে তার ছবি তুলে অবস্থান বোঝার চেষ্টা করছিল, কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। তবে বৃষ্টির জন্য ড্রোন চালানো বন্ধ হয়। বৃষ্টির পরেও আরও এক রাউন্ড গুলি চালানোর শব্দ পাওয়া যায়। জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ওই জুনিয়ার কনস্টেবলের নাম বিনোদ কুমার মাহাত। বাড়ি পুরুলিয়া জেলার কোটশিলা থানার গোরাইয়াটার গ্রামে। জানা গিয়েছে এদিন তিনি তিন দফায় ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেই পোস্ট গুলিতে হিন্দুত্ববাদ সমর্থনেই করেছিলেন। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে এদিন তিনি পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগারের দু তলায় সেন্ট্রি ডিউটি করছিলেন।
Reminded @MamataOfficial Thomas Fuller’s words “Be you never so high, the law is above you. ‘
Also indicated I cannot be fiddling in Raj Bhawan when people are stressed. I cannot turn ‘Nelson’s eye’ to issues being faced by the people in this crisis period. pic.twitter.com/W8mjiFV1f0
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 24, 2020
তার সাথে আরও পাঁচজন ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে তিনজন ছাদের উপরে ডিউটি করছিলেন। বাকি দুজন ছাদের নীচে ছিলেন। তার সাথে থাকা দুজনকে ভয় দেখালে একজন অস্ত্র এবং গুলি রেখে দিয়ে পালিয়ে আসেন। আর একজন ওখানেই কোথাও ছাদের কার্ণিসে লুকিয়ে রয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে রাত সাত নাগাদ বাঁকুড়া রেঞ্জের আই জি রাজ শেখরন।ঝাড়্গ্রাম পুলিশ লাইনে এসে পৌছান। তার আগে কয়েক দফায় দফায় পুলিশ বাহিনী তাঁকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। এদিন সন্ধ্যার সময় পুলিশের একটি বাহিনী জঙ্গলের ভেতর দিয়ে সন্তর্পণে পুলিশ লাইনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।
Telangana: 100 US nationals airlifted by an Air India special passenger relief flight to Delhi to further go to US & 72 UAE nationals airlifted by a special Air Arabia flight to Sharjah, from Hyderabad international airport today pic.twitter.com/H2s9e8zA46
— ANI (@ANI) April 22, 2020
ওই সময় সেন্ট্রি দেখতে পেয়ে আবার গুলি ছুড়তে শুরু করলে তারা পিছিয়ে আসেন। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে জুনিয়ার কনস্টেবল বিনোদ কুমার মাহাতর পরিবারের মা, বাবা, ভাইপো ও তার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন পুলিশ। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হয়েছে কি না। তা এখনো পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এদিন সন্ধার পরে পুলিশ লাইনের সমস্ত লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে বার বারে অনুরোধ করা সেখানে নেমে আসার জন্য। কিন্তু কারো কথায় সে নেমে আসেনি। বিনোদ কুমার ছাদ থেকে উত্তর দেন “আমি বেঁচে আছি। আমার কাছে অনেক গুলি আছে।” এমনিকি অ্যান্টি ল্যান্ডমাইন গাড়িকেউ লক্ষ করে গুলি বেশ কয়েকরাউন্ড গুলি ছুঁড়েন।
#lockdownextension #about 40 rounds bullets#from#jhargram police line#constable # Binod Kumar.. pic.twitter.com/meXAh4lmeH
— aamarsakal.com (@aamarsakal) April 23, 2020
এদিকে এদিন দুপুরেই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন ঝাড়গ্রামের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত রাঠোর সহ পুলিশের একাধিক আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, ওই জুনিয়র কনস্টেবলকে ছাদ থেকে এখনও নামানো যায়নি। ফলে আতঙ্কের রেশ কাটছে না কিছুতেই। ঘটনার জেরে পুলিশ লাইনের রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে জঙ্গলখাস এলাকায় প্রায় বাহাত্তর একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই পুলিশ লাইনটি। ২০১৬ সালে এই পুলিশ লাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। গত বছর নভেম্বর মাসে এই পুলিশ লাইনের প্রশাসনিক ভবনের শুভ উদ্বোধন হয়েছে।