স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে ফোন করে শৌনক জানতে চান, নিখিল বিয়ে করতে পারলে তিনি কেন পারবেন না?

লকডাউনে বাংলার বৈশাখ মাসে যেসকল পাত্রপাত্রীর বিয়ে ছিল, তা এই পরিস্থিতিতে ভেস্তে গিয়েছে। কিন্তু এই লকডাউনেও যারা ধনুকভাঙ্গা পণ করেছেন যে, বিয়ে যদি করতেই হয়, তো করবই। আর সে লকডাউন বাঁধা হতে পারবে না। এরকমই এক বিয়ের স্বাক্ষী থাকল, খড়্গপুর শহরের তালবাগিচার বামনপাড়ার এক পরিবারে। বৃহস্পতিবারশুভদৃষ্টি থেকে মালাবদল— সবই হল মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। পাত্র সৌরভ কর্মকারের বাড়ির মন্দিরেই হয়েছে অনাড়ম্বর বিয়ে। পাত্রী স্বাতী পাতর ঝাড়গ্রামের মেয়ে। সব মিলিয়ে ছিলেন জনা পনেরো লোক। আয়োজন হয়নি প্রীতিভোজের। সেই টাকায় লকডাউনে বিপাকে পড়া অসহায় মানুষদের খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন নবদম্পতি। একই পথে হাঁটার কথা ভাবছেন শ্রীরামপুরের বাসিন্দা শৌনক দাস। বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট থেকে নম্বর জোগাড় করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে ফোন করে শৌনক জানতে চান, নিখিল বিয়ে করতে পারলে তিনি কেন পারবেন না?

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও বাধা নেই। স্থানীয় থানাকে জানিয়ে রাখতে হবে। সে কাজ অনেক আগেই সেরে রেখেছিলেন শৌনক। বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশকর্তার সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হয়েছে তাঁর। আজ, শনিবার বিয়ে করতে যাবেন ১৫ মিনিট দূরে সিঙ্গুর থানা এলাকায়। বরযাত্রী বলতে শুধু বাবা। মেয়ের বাড়িতে পাত্রী ছাড়া থাকবেন তাঁর বাবা-মা এবং পুরোহিত। রেজিস্ট্রেশনের জন্য নোটিস দিয়ে রেখেছিলেন আগেই। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ম্যারেজ অফিসারকে রাজি করাতে পারেননি। কিন্তু, লকডাউনের মধ্যে করা বিয়েকে কি আইনি বৈধতা দেওয়া হবে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের ম্যারেজ অফিসারদের সংগঠনের সম্পাদক জয়ন্ত মিত্র। তাঁর যুক্তি পরবর্তী সময়ে যখন দেখা যাবে বিয়ে হয়েছে লকডাউন চলাকালীন এবং আইন দফতরের অধীনস্থ ম্যারেজ অফিসার তা করিয়েছেন, তখন কি আইন না-মানার অভিযোগ উঠবে না? পুরো বিষয়টি জানিয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি লিখেছেন জয়ন্তবাবু।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন