ঝাড়গ্রামের সাংসদ তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যাতে খরচ করা যার তার জন্য জেলা শাসককে একটি আবেদন পত্র দিলেন। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমরম ঝাড়গ্রাম জেলা শাসকের দফতরে যান।যদিও জেলা শাসক সেই সময় ছিলেন না অফিসে ।এদিন কুনার বাবু একাই জেলা শাসকের দফতরে এসেছিলেন আবাদেন পত্রটি দিতে।করোনার জেরে ঝাড়গ্রাম জেলায় শহরে লক ডাউন রয়েছে।এক সাথে বেশি মানুষের বের হওয়ার উপর নিষেধাঞ্জা রয়েছে।তাই তিনি প্রয়োজনীয় কাজ টি করার জন্য একাই দফতরে এসেছিলেন।এদিন তার আবেদন পত্রটি জেলা শাসকের কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে দিয়ে আসেন।রাজ্যে করোনা মৃত্যুর জেরে দেশের পাশাপাশি রাজ্য এবং জঙ্গলমহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ ভীড় করছেন ঝাড়গ্রাম জেলা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল সহ গোপীবল্লভপুর এবং নয়াগ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে।আতঙ্ক এতটাই যে ভিন রাজ্য থেকে ফেরৎ আসা মানুষ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া গ্রামে ঢুরতে দিচ্ছেন না গ্রামবাসী।জেলায় যাতে কোভিড ১৯ কে প্রতিহত করা যায় তার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য খাতে সাংসদ কোটার টাকা যাতে ব্যয় করা হয় তা চাইছেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ।এদিন জেলা শাসকের কন্ট্রোল রুম থেকে বেরিয়ে এসে সাংসদ কুনার হেমরম সাংবাদ মাধ্যমকে জানান “এমপি ফান্ডে আমরা বছরে পাঁচ কোটি টাকা আমরা পাই।যে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক,ম্যান মেড বিপর্যয় হোক এরকম পরিস্থিতি হলে আমাদের ফান্ড থেকে কিছু খরচ করার সুযোগ আছে।সাংসাদ কোটার টাকা জেলা শাসকের মাধ্যমে খরচ হয়।এই জন্য আমি জেলা শাসককে একটি চিঠি দিলাম যাতে পঞ্চাশ লাখ টাকা কভিট ১৯ কে প্রতিহত করার জন্য যাযা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার,যাযা খরচ দরকার আমরার লোকসভা কেন্দ্র থেকে হবে তা এই পঞ্চাশ লাখ টাকা থেকে খরচ হবে তার জন্য আমি একটা চিঠি দিলাম। তিনি এই পঞ্চাশ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন এই কভিট ১৯ মোকবিল করার জন্য। এদিন জেলা শাসকের অফিসে কেউ নেই তাই কন্ট্রোরুমে চিঠিটি দিয়েছি। ” এই বিষয় ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক আয়েষা রানী বলেন “ সাংসদের একটি আবেদন পত্র পেয়েছি।গাইড লাইন মেনে কতটা কি করা যায় তা বিবেচনা করে দেখা হবে।”