সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার বিরাট অঙ্কের অর্থ সাহায্য করলেন পরিবহণ মন্ত্রী ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্ক, বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল সমবায় ব্যাঙ্ক এবং কন্টাই কার্ড ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ করে টাকা দিলেন শুভেন্দু। এছাড়াও নিজের বিধায়ক ও মন্ত্রী হিসেবে যে বেতন পান সেখান থেকেও ১০ লক্ষ টাকা দিলেন করোনা ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে। মোট ১কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই তিনটি ব্যাঙ্কেরই চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।হলদিয়ায় এলপিজি ট্রাক ড্রাইভারদের দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে পরিবহণমন্ত্রীর উদ্যোগে। লকডাউনের মধ্যে খাদ্য সঙ্কটে পড়ে গিয়েছিলেন প্রায় চারশো ট্রাক ড্রাইভার। ফলে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছিলেন তাঁরা। হলদিয়া থেকে যদি এলপিজি সাপ্লাই বন্ধ হয় তাহলে গোটা রাজ্যে রান্নার গ্যাস অপ্রতুল হয়ে পড়ত। তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। শুধু রিলিফ ফান্ডে টাকা দেওয়াই নয়। পরিবহণমন্ত্রীর কাঁধে এখন আরও বড় দায়িত্ব। লকডাউনের মধ্যেও যাতে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারেন তার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করেছে তাঁর দফতর। আজই পরিবহণ ভবন জানিয়েছে, কলকাতার ছ’টি রুটে জরুরি পরিষেবার কর্মীদের সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বাস চালানো হবে। সীমিত সংখ্যক ওলা-উবেরও রাস্তায় নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে পরিবহণ দফতর।