নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের কাছে আতঙ্কের আরেক নাম করোনা ভাইরাস।গোটা চীনে যেন এখন শশ্মানের নিঃস্তব্ধতা। বিশ্বের কাছ থেকে কার্যত আলাদা হয়ে পড়েছে চীন। ভয়বহ ভাইরাসের আকার দেখে বিশ্বজুড়ে জরুরী অবস্থার কথা জানিয়েছে ‘হু’। শুধু চীন নয় ২৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে নাজেহাল অবস্থা বিভিন্ন রাষ্ট্রের তাবড়ও বিজ্ঞানীরা। কি করে এই ভাইরাসের থাবা থেকে মানুষজনকে বাঁচানো যাবে সেই বিষয়ে সঠিক কোন উত্তর এখনও কারুর কাছে নেই। প্রায় প্রতিদিনিই কোন না কোন নতুন উপসর্গ দেখে চোখ কপালে উঠছে চিকিৎসকদের। এবার যা হল তা রীতিমত ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।একদিনের শিশু। আর নির্ভুল বললে, শিশুর বয়স ৩০ ঘণ্টা। সদ্যোজাত সেই একরত্তির শরীরেও থাবা বসাল নোভেল করোনাভাইরাস।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চিনের উহান শহরের ওই একরত্তি শিশুটি এখন মিডিয়ার নজরে। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ওই শিশুটিই সর্বকনিষ্ঠ। ওই নবজাতক ছেলে না মেয়ে, তা জানা যায়নি। তবে, তাকে নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে।তবে জন্মানোর পরেই শিশুর দেহে করোনা ভাইরাস দেখে চিকিৎসকরা ভাবতে বসেছেন, মাতৃজঠরেই কি তার সংক্রমণ হয়েছিল, নাকি জন্মের পর তা হয়েছে।
আমার সকাল : করোনাভাইরাসকে আটঁকাতে আমেরিকার সাহায্য নিতে আপত্তি নেই, জানিয়ে দিল চিন
ইউহান শিশু হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক জেং লিংকং জানাচ্ছেন, “এই ঘটনা আমাদের অন্যদিকে নিয়ে গেল। এখন মায়ের থেকে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরও সংক্রমণ একটা রাস্তা বলে মনে করা হয়। তবে এমনটাও হতে পারে যে জন্মের পরই এই চত্বরে ছড়িয়ে থাকা করোনা ভাইরাস শিশুর শরীরে ঢুকে গিয়েছে।”চিনে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৮হাজার ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে অবশ্য শিশুদের সংখ্যা হাতে গোনা। তারই মধ্যে ৩০ ঘণ্টা বয়সের শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে। এর আগে সিঙ্গাপুরে ৬ মাসের এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৮ বছরের দুই শিশুর শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। মা, বাবার শরীর থেকে শিশুদের শরীরে এই সংক্রমণ কীভাবে রোখা যাবে, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।