নিজস্ব প্রতিনিধি : ইরানের শীর্ষ কম্যান্ডার কাসিম সুলেইমানি বিশাল সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। তার বিস্তৃতি নয়াদিল্লি ও লন্ডনের অনেক মানুষকে হত্যার ষড়যন্ত্র পর্যন্ত করেছিলেল। গতকাল মার্কিন ড্রোন হানায় নিহত ইরানের কাডস বাহিনীর শীর্ষকর্তাকে নিয়ে এমনই দাবী করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেছেন, ইরানে বসেই কাসেম সোলেমানি দিল্লি ও লন্ডনে হামলায় মদত দিয়েছিলেন।
ফ্লোরিডার মার আ লাগো অঞ্চলে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “ইরাকে কিছুদিন আগে মার্কিন অফিসে হামলা হয়েছিল। তাতে এক আমেরিকান নাগরিক মারা যান। আর এক আমেরিকান গুরুতর জখম হন। বাগদাদে আমাদের দূতাবাসেও হামলা করা হয়েছে। সোলেমানির নির্দেশেই দূতাবাসে হামলা করেছিল উত্তেজিত জনতা।” সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘‘বহু নিষ্পাপ মানুষের মৃত্যু জন্য দায়ী কাসেম সোলেমানি। আজ আমরা সোলেমানির চালানো হিংসায় নিহতদের স্মরণ করছি, তাঁদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। এটা ভেবে শান্তি পাচ্ছি যে সন্ত্রাসের রাজত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে।’ এমনকি দিল্লও লন্ডনেও সুলেইমানি পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবি ট্রাম্পের।
শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় ইরানের শীর্ষ কম্যান্ডার কাসিম সুলেইমানির। তাঁর মৃত্যুতে আতঙ্কের রাজত্ব শেষ হল বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। বিদেশে মার্কিনদের রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই সুলেইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পেন্টাগন। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসেও তাঁর নির্দেশেই হামলা চালানো হয়।