আমার সকাল: গুরুনানকের জন্মদিবসকে সামনে রেখেই পাকিস্তান যাচ্ছেন মনমোহন সিং

নিজস্ব সংবাদদাতা: গুরু নানকের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কর্তারপুরে যাচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, “মনমোহন সিং আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।”জানা গিয়েছে, ৯ নভেম্বর পু্ণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে করতারপুর করিডর। ওই দিন পুণ্যার্থীদের সঙ্গে করতারপুর গুরুদ্বারে যাবেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর সঙ্গে থাকবেন মনমোহন সিং।

আরো পড়ুন:  এবার কাশ্মীরের নেতাদেরও ধীরে ধীরে মুক্তি দেওয়া হবে, ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন

বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে থাকার আমন্ত্রণ জানান অমরেন্দ্র সিং। গুরু নানকের ৫৫০ তম প্রকাশপর্বের অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি।  গত শুক্রবার মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণের কথা শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেসির মুখেও। তিনি বলেছিলেন,”করতারপুর সাহিবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করতে চাই। শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন উনি। আনুষ্ঠানিকভাবে ওনাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠাবে পাকিস্তান।”

আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে মারা যাবে ১০ কোটি মানুষ, ঢাকা পড়বে সূর্যের আলো! জানালো সমীক্ষা

১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একবারও পাকিস্তানে যাননি মনমোহন সিং। দেশভাগের আগে তাঁর পরিবার পাকিস্তানের অংশে থাকা পঞ্জাবে থাকত। স্বাধীনতার পর অমৃতসরে চলে আসে মনমোহন সিংয়ের পরিবার। জীবনের শেষ ১৮ বছর করতারপুরে কাটিয়েছিলেন গুরু নানক। সেখানেই তৈরি হয়েছে ওই গুরুদ্বার। বর্তমান জায়গাটি পাকিস্তানের নারোয়াল জেলার অন্তর্গত। পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানকের গুরুদ্বার থেকে করতারপুরের দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার।

করতারপুর করিডর দুটি জায়গার সংযোগ পথ হতে চলেছে।  তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের জন্য মনমোহন সিং পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত পাঞ্জাবে যাচ্ছেন না। করিডর উদ্বোধনের কোনও প্রশ্নই নেই। সেটা একেবারে আলাদা বিষয়। তিনি যাচ্ছেন, নানকের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে যে অনুষ্ঠান হচ্ছে, তাতে যোগ দিতে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গা গ্রামে জন্ম মনমোহনের। দেশভাগের পর ভারতে চলে এসেছিল তাঁর পরিবার। দশ বছর প্রশানমন্ত্রী থাকার সময়েও পাক সফরে যাননি মনমোহন। ২০০৮-এ মুম্বই হামলার পর পাক সফরে যাওয়ার তাঁর আর কোনও অবকাশ ছিল না বলেও মনে করেন অনেকে। তবে কূটনৈতিক মহলের মতে, কাশ্মীর ইস্যুতে যখন ভারত-পাক কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে, তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন