নিজস্ব প্রতিনিধি— শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীর আগেই আগামী ৯ নভেম্বর থেকে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে করতারপুর করিডর। রবিবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সমগ্র বিশ্বের শিখ সম্প্রদায়ের জন্য এই করিডরের দরজা খুলে দেওয়া হবে শীঘ্রই। কারতারপুরের কাজ এই মুহূর্তে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং সাধারণের জন্য ৯ নভেম্বর ২০১৯ থেকে খুলে দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের সব থেকে বড় এই গুরুদ্বারে ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ যেতে পারবেন। এছাড়াও এই করিডোরের মাধ্যমে যুক্ত হবে ভারতের পঞ্জাব রাজ্যের গুরুদাসপুর ডেরাবাবা নানক শেরনি এবং পাকিস্তানের লাহোরে দরবার সাহিব গুরুদ্বার। ইমরান খান আরও জানান, বিশ্বের সব থেকে বড় এই গুরুদ্বারে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ এখানে আসবেন। ভারত থেকেও আসবেন বহু মানুষ। দেশের পর্যটন শিল্পে তার প্রভাব পড়বে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে স্থানীয় অর্থনীতিতেও তার প্রভাব পড়বে।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীর তিনদিন আগে ৯ নভেম্বর এই করিডর উদ্বোধন উপলক্ষে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উপস্থিত থাকবেন।
খেলতে খেলতে হিজাব খুলে যাওয়া তরুণীকে ঘিরে ধরলেন বিপক্ষের খেলোয়াড়রা, তারপর…
এই করিডরে যে সকল ভারতীয় তীর্থযাত্রী আসবেন তাঁরা ভিসা ছাড়া আসতে পারবেন। সংবাদমাধ্যমকে ইমরান খান জানিয়েছেন, এই করিডোরটি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে প্রথম ভিসা-মুক্ত করিডোরও হবে। শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীর আগে যাতে এই করিডোরের রাস্তা খুলে যায় তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আগেই উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছিল। যাঁরা এই করতারপুর করিডোর পেরিয়ে লাহোরের দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যাবেন বা পাকিস্তান থেকে যাঁরা নানক শেরনি আসবেন তাঁদের পরিষেবা কর বাবদ ২০ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় ১,৪২০ টাকা) দিতে হবে পাক সরকারকে। এদিকে, পাকিস্তানের এই পরিষেবা কর নেওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। পাক সরকারের এই সীদ্ধান্তকে অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।