নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিবার চাঁদে ল্যান্ডিংয়ের সময়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল যোগাযোগ। তার পর থেকে লাগাতার চলছিল ল্যান্ডার বিক্রমের খোঁজ। অবশেষে খোঁজ মিলল বিক্রমের। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিক্রমকে খুঁজে পাওয়ার খবর জানালেন ইসরোর প্রধান ডঃ কে শিবন।
— aamarsakal.com (@aamarsakal) September 8, 2019
চন্দ্রযান-২-এর অর্বিটারকেই কাজে লাগালেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।গত ২৪ ঘণ্টায় মনিটরে চোখ রেখে বসেছিলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। সম্ভাবনা ছিল বার্তা পাঠাতে পারে অরবিটার। রবিবার সকালে অর্বিটারের পাঠানো থার্মাল ছবি থেকেই মিলল বিক্রমের সন্ধান। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের বুকে অক্ষত অবস্থাতেই আছে বিক্রম। তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হলে তবেই মিলবে জরুরি তথ্য। ঠিক কী ঘটেছিল ল্যান্ডিংয়ের সময়ে, জানা যাবে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেই।
কে শিবন জানিয়েছেন, অরবিটারের থার্মাল ইমেজে ধরা পড়েছে বিক্রমের ছবি। তার শরীরের ভিতরে প্রজ্ঞানও অক্ষত অবস্থাতেই আছে বলে মনে করা হচ্ছে। অরবিটারের মাধ্যমে তার সঙ্গে রেডিও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আমার সকাল: গর্বের দিনে মাথা হেঁট দেশবাসীর! এনআরসির তালিকায় নাম নেই চন্দ্রযান-২ এর উপদেষ্টা বিজ্ঞানীর
শুক্রবার রাত ১টা ৫৫মিনিটে সফট ল্যান্ডিংয়ের আগেই ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ‘টাচ ডাউন’-এর শেষ ১৫ মিনিট বেড়ে দাঁড়ায় আধ ঘণ্টায়। উৎকণ্ঠায় হই চই শুরু হয়ে যায় ইসরোর মিশন কন্ট্রোল রুমে। ভেঙে পড়তে দেখা যায় ইসরো কর্তা কে শিবনকে। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়, এখনও ভরসা হারায়নি ইসরো।
ইসরোর মতে এই অভিযান ৯০-৯৫ শতাংশ সফল হয়েছে। ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও কাজ করবে অরবিটার। ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, ”অভিযানের প্রতিটি ধাপের সাফল্যের পর্যালোচনা হয়েছে। ১০০ শতাংশের কাছাকাছি সফল হয়েছে মিশন।” অরবিটারের আয়ু একবছর ভাবা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত জ্বালানি থাকায় সেটি সাড়ে সাত বছর চাঁদের কক্ষপথে থাকবে বলে জানিয়েছেন শিবন।