নিজস্ব প্রতিনিধি— কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে বারবার ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করলেও মোদি-শাহের মাস্টার স্টোকে কার্যত দিশেহারা পাকিস্তান। প্রথমে আমেরিকা এরপর রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছেও জোর ধাক্কা খেল পাকিস্তান। কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষপ চেয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের দাবির পাল্টা শিমলা চুক্তির কথা মনে করিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেজ। একই সঙ্গে দুই প্রতিবেশী দেশকে সর্বাধিক সংযম দেখানোরও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কাশ্মীর যে দ্বিপাক্ষিক বিষয় তা-ই লেখা রয়েছে শিমলা চুক্তিতে।
পাকিস্তানের দূত মালিহা লোধি কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করার প্রসঙ্গে মহাসচিবের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘মহাসচিব ১৯৭২ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, যা শিমলা চুক্তি নামে পরিচিত, তার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। যেখানে বলা আছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের চার্টার মেনে দু দেশ জম্মু ও কাশ্মীরের অবস্থা নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
৩৭০ ধারা বাতিলের পর আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ চেয়ে ইমরান বলেছিলেন, কাশ্মীরিদের উপর মোদী সরকারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার রুখতে এগিয়ে আসা উচিত আন্তর্জাতিক মহলের। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাশ্মীর নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণের কয়েক ঘণ্টা পরই ইমরান বলেছেন, কারফিউ তুলে নেওয়ার পর কাশ্মীর ও কাশ্মীরিদের সঙ্গে কী করা হয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দুনিয়া।